চোখ ধাঁধানো এক চিত্রে সেজে উঠছে কোলকাতার মুদিয়ালী ক্লাব, ১.৫ লক্ষ্য বেলপাতা শুকিয়ে করা হয়েছে মায়ের মুখ!

।। প্রথম কলকাতা ।।

১.৫ লক্ষ্য বেলপাতা শুকিয়ে করা হয়েছে মায়ের মুখ। মণ্ডপ সজ্জায় রয়েছে প্রায় দু লক্ষ্য প্রদীপ। মণ্ডপে ঢুকে দর্শকরা হারিয়ে যাবেন অপার এক বিস্ময়ে। ৮৯ তম বর্ষে চোখ ধাঁধানো এক চিত্রে সেজে উঠছে কোলকাতার মুদিয়ালী ক্লাব। কয়েক টা দিনের মাত্র অপেক্ষা! তারপরেই ঢাকে কাঠি পড়বে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মেতে উঠবে গোটা রাজ্য।

দর্শনার্থীদের গন্তব্য তালিকায় বরাবরের মতোই অন্যতম মুদিয়ালি ক্লাব। প্রায় প্রতি বছরই তাদের ভাবনার নয়া চমক টেনে আনে উপচে পড়া ভিড়। এবারও তাঁদের স্বমহিমায় সেজে উঠেছে মণ্ডপ। রয়েছে চোখ ধাঁধানো চমক। শিল্পী বিমান সাহার ভাবনায় তৈরি হয়েছে মণ্ডপ।কোনও কঠিন বিষয় নয়। এমন কোনও থিম নয় যা সাধারণ মানুষের বোধগম্যর বাইরে। প্রকৃত দুর্গা পুজোর যে অন্তরাত্মা সেই অন্তরাত্মার ছোঁয়াই মুদিয়ালির এই মণ্ডপের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে। এটাই এবার মুদিয়ালী ক্লাবের হাতিয়ার। এমন একটি থিম যা গ্রাম, মফস্বল বা শহরতলি যেকোনো জায়গার দর্শণার্থীর বোধগম্য হবে সহজেই। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সমাহারে সমারহ’ অর্থাৎ প্রতিটা কাজের, পরিশ্রমের এখানে প্রচুর সমাহার। সম্মিলিত ভাবে তৈরি করছেন এক মহা সমারহ। পুজোর প্রকৃত সর্বজনীন রূপ এই মণ্ডপে এলেই উপলব্ধি করা যাবে।

মণ্ডপে ঢুকলেই প্রথমে চোখ যাবে আকাশে। মাটি থেকে প্রায় ৭০ ফুট উপরে পাশাপাশি বিপরীত মুখী দুটি বেলপাতায় তৈরি মহাজাগতিক মায়ের মুখ। পাশে এক সুবিশাল একশো প্রদীপের সমাহার। এরপর চোখ নিচে নামালে দেখা যাবে একের পর দেবদেবীর বিশাল মূর্তি। যার ঠিক মাঝখানে বিরাজমান মা দুর্গা। এই মূর্তিতে কিন্তু বিন্দুমাত্র পরিবর্তন নেয়। বিগত ৮৮ বছর ধরে এই পুজোয় এসে মানুষ মা এর যে মুখ দেখে অভ্যস্ত সেই চিরায়িত মুখ এবারও।

দেড় লক্ষ্যের বেশি প্রদীপ, কাজল লতা, ধুনুচি, বেলপাতা পুজোয় ব্যবহৃত মায়ের বিভিন্ন সামগ্রীর সমাহারে সেজে উঠেছে মুদিয়ালির মণ্ডপ। চারিদিকে ঝলমল করে ঝরে পড়বে আলো। এছাড়াও মা দুর্গার অলংকার থেকে শুরু করে সমগ্র সাজ সজ্জায় যে চমক থাকবে তা আলাদা মাত্রায় পৌঁছে দেবে এবারের মুদিয়ালির পুজোকে। আলোকসজ্জায় যে অভিনবত্ব দেখতে পাবেন তা সত্যিই নজড় কাড়ার মতো।

৮৯ তম বর্ষে মুদিয়ালি এবার শিল্পী বদলেছে। সেই শিল্পী প্রথম বছরেই কার্যত চমক দিতে চান। তিনি সমাহার ঘটাতে চান যাবতীয় সমারোহের। কারণ পুজোর আর এক নাম সমারহ। দ্বিতীয়া বা তৃতীয়ার দিন থেকেই উদ্বোধন হয়ে যাবে মণ্ডপের। তারপর শুরু হবে মানুষের আনাগোনা।মুদিয়ালির চোখ ধাঁধানো নতুন চমক দেখতে কিন্তু অবশ্যই আসতে হবে আপনাদের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version