এই বনেদি বাড়িতে মা দুর্গা নিজে জল খেতে এসেছিলেন, ৫০০ বছরের পুজোর ইতিহাস গায়ে কাঁটা দেবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

এই বনেদি বাড়িতে জল খেতে এসেছিলেন স্বয়ং মা দুর্গা।চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নয় মা দুর্গা প্রতিবছর পুজো নিতে এখানে একা আসেন। পাঁচশ বছরের পুরনো পুজোর জৌলুস কমেছে। তাল মিলিয়ে রয়ে গিয়েছে সব রীতিনীতি। বাংলার এই বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোর ইতিহাস শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে ভগ্নপ্রায় বাড়িটি। ক্ষয়ে আসা সময়ের গা থেকে সরে গেছে চুনকাম, বেরিয়ে পড়েছে জরা জীর্ণ হাড় জিরজিরে এক সময়ের চিহ্ন। যেখানে একরাশ অন্ধকারে আলো দেখিয়ে মা আসেন প্রতিবছর।

নদীয়ার শান্তিপুরের রায় বাড়ির দুর্গাপুজো একসময় ঝাড়বাতির আলোয় সেজে উঠতো। সেই বাড়িতে এখন ঢোকার মুখ অন্ধকার, স্যাঁতস্যাঁতে। শোনা যায় লাল পাড় শাড়ি পড়ে দেবী দুর্গা এসেছিলেন জল খেতে। পরে স্বপ্নাদেশ দেন। সেসময় আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না রায় পরিবারের দেবীর নির্দেশমতো প্রথমবছর পুজো হয়েছিল কুলোয়। সেই থেকে এখানে দেবীর নাম কুলোপতি। সুবিশাল বাড়ির লাগোয়া ঠাকুর দালান। সেখানেই ধীরে ধীরে মায়ের মূর্তিতে প্রাণ ফিরছে।একের পর এক প্রজন্ম এসেছে। কালের নিয়মে হারিয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু তাও তার প্রভাব পুজোর পড়তে দেননি এই পরিবার।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম শুনে আসছে মা দুর্গা এই বাড়িতে একা এসেছিলেন জল খেতে। ছেলেমেয়ে তখন সাথে ছিল না তাই রায় বাড়িতে শুধু মায়ের মূর্তি গড়া হয়। যদিও কার্তিক- গনেশ লক্ষ্মী সরস্বতী  সকলের নামেই পুজো নিবেদন করা হয়। এখানে এলে চোখে পড়বে বনেদি বাড়ির ঐতিহ্য। তবে সাতমহলা এই বাড়ির অবস্থা এখন খুবই খারাপ। বাড়ির একাংশ ভেঙে গিয়েছে। খসে পড়ছে পলেস্তারা। দেওয়ালে গজিয়েছে গাছ। এই বাড়িতে মায়ের প্রিয় ভোগ পায়েস। পরিবারের আত্মীয়-স্বজন যারা বাইরে রয়েছেন, তারাও পুজোর কটিদিন একসাথেই কাটান আনন্দ করে। পরতে পরতে ইতিহাস নিয়ে বাংলার আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন দুর্গাপুজো।প্রত্যেকটি বনেদি বাড়ির আলাদা গল্প।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version