Bandel Case: নেশার জন্য বন্ধক মোবাইল, তারপর ? রঘুবীরের কাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্য ব্যান্ডেলে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bandel Case: পকেটে টাকা নেই। টাকার বদলে পকেটে থাকা মোবাইলই সম্বল। দোকানদারকে মোবাইল দিয়ে মদ কিনে ফিরে আসে রঘুবীর যাদব নামে এক যুবক। কিন্তু নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাতের বেলা চড়াও হয় সেই মদ বিক্রেতার বাড়িতে। প্রথমে গচ্ছিত রাখা নিজের মোবাইল ফেরত চায়। আর তারপর দুপক্ষের বচসার জেরে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। মদ্যপ অবস্থায় এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে রঘুবীর। তাতে আহত হন ব্যবসায়ী সহ তাঁর মা এবং স্ত্রী।

এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে হুগলির ব্যান্ডেলে। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোমবার রাতে এলাকার মদ ব্যবসায়ী দীপঙ্কর দাসের কাছে মদ কিনতে এসেছিল রঘুবীর যাদব। কিন্তু দীপঙ্কর জানায় পুরনো ধার শোধ না করলে বাকিতে মদ দেবে না সে। যার ফলে বেগতিক দেখে নিজের কাছে থাকা ফোন দীপঙ্করের কাছে জমা রেখে মদ নিয়ে সেখান থেকে চলে যায় রঘুবীর। এরপর মধ্যরাতে মধ্যপ অবস্থায় দীপঙ্করের বাড়িতে হানা দেয় সে।

তাঁর মোবাইল ফোন ফেরত চায় দীপঙ্করের কাছ থেকে। তবে দীপঙ্কর জানায় , বকেয়া ১৩০০ টাকা না মেটালে ফোন সে দেবে না। রঘুবীর তাকে আশ্বাস দেয় অনলাইন মাধ্যমে টাকা দিয়ে দেবে তাকে। তবে তা দিতে না পারায় দুজনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। এরপরই মদ্যপ রঘুবীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে দীপঙ্কর দাস, তাঁর স্ত্রী সীমা দাস এবং মা পরমা দাসকে। সকলেই বর্তমানে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় অভিযোগ জানানো হয় ব্যান্ডেল ফাঁড়ির পুলিশকে। অভিযোগের ভিত্তিতে রঘুবীরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রঘুবীর যাদবের নাম পুলিশের খাতায় আগেও উঠেছে। এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version