পর্যটকদের জন্য দীঘায় এবার আরও চমক, নয়া উদ্যোগ প্রশাসনের, আনন্দ হবে আপনারাও

।। প্রথম কলকাতা ।।

রোজকার হাঁফ ধরা রুটিন থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে কে না চায়। আপনিও নিশ্চয়ই চাইছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল দারুণ সুখবর। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি সমুদ্র বলতে অজ্ঞান। সি বিচের ধারে কয়েকটা দিন আনন্দে কাটাতে চান অনেকেই। আর সমুদ্রের কথা বললে দীঘার নাম আসবে না তা কি কখনও হয়। সেই দীঘা এবার আপনার কাছে নতুন রূপে ধরা দিতে তৈরি। কি কি থাকছে সেখানে? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে।

দীঘা মানে কম খরচে বাঙালির গোয়া দর্শন। দীঘার সৈকত বাঙালির কাছে বরাবরই খুব প্রিয়। হাতে দু দিনের ছুটি পেলেই আমরা দীঘার সমুদ্র সৈকত থেকে ঘুরে আসি। বছরের অধিকাংশ সময়ই পর্যটকে ভরা থাকে দীঘা। দক্ষিণবঙ্গের পর্যটকরা তো বটেই, বাংলা তথা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও দীঘায় ঘুরতে আসেন অনেকেই। সেই দীঘাকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে নানান ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এবং দীঘা ও শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ দীঘার উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। দীঘা ও তার পাশের সৈকতগুলিতে আরও পর্যটক নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কি কি ব্যবস্হা?

আপনি যদি দীঘা যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এক দারুন উপহার অপেক্ষা করছে। যা দেখে আপনি খুশিতে লাফাতে শুরু করবেন। দীঘাকে একপ্রকার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন।পর্যটকদের টানতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে এক বিশাল বড় মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে দীঘায়। যা নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে এক্সাইটমেন্টের অন্ত নেই। কিন্তু এবার আরও এক দারুণ সুখবর অপেক্ষা করছে সকলের জন্য।কী সেই সুখবর? জানতে আপনারও নিশ্চয়ই ইচ্ছা করছে? তাহলে আর অপেক্ষা না করিয়ে জানানো যাক গোটা বিষয়টা।

রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হল স্বচ্ছ বাংলা। এজন্য দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক অধিকারিকদের নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নিয়েছে দিঘার মতো পর্যটন কেন্দ্রকে। এছাড়াও যে সকল বর্জ্য পদার্থ রয়েছে সে সকল বর্জ্য পদার্থগুলি থেকে সার তৈরি করার ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের রথ দেখা কলা বেচা দুটোই হবে পর্যটকদের। সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে ঢেলে সাজানো হচ্ছে দীঘাকে। থাকছে বিনোদন পার্ক। সমুদ্র স্নানের পাশাপাশি সেসব উপভোগ করা যাবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কারণেও পর্যটকদের উপস্হিতি বাড়বে। এসবের কারণে বিপুল পরিমাণে কর্মসংস্থানও হবে এই সমুদ্র সৈকতে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version