মোদীর মাস্টারস্ট্রোকে চিনের বাজারে ধস! ‘ভবিষ্যত উজ্জ্বল’ দিল্লির, চাঁদের হাট যুক্তরাষ্ট্রে

।। প্রথম কলকাতা ।।

মোদী আমেরিকায় পৌঁছতেই চিনের খারাপ দিন শুরু। বড়সড় ধস নেমে গেল বেজিংয়ের বাণিজ্যে। ভারতের অর্থনীতিতে লক্ষ্মীলাভের তো জাস্ট। বিশেষজ্ঞদের দাবি নমোর সফরে যুক্তরাষ্ট্র বড় ঘোষণা করল চিনকে নিয়ে। মোদী পৌঁছতেই এত ফাস্ট রিয়াকশন৷ যুক্তরাষ্ট্রের তাবড় তাবড় বিজনেস টাইকুন যেন মুখিয়ে ছিল একটা সাক্ষাতের জন্য
আর লাল সুলতানের উদ্বেগ সেখানেই বদলে গেল বাস্তবে। ভারতের ওপর ১ বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট আসতে চলেছে মাইক্রন চিপ টেস্টিং কোম্পানি ভারতের মাটিতে।  কিন্তু এর সঙ্গে চিনের ক্ষতির সম্পর্কটা কোথায়? জেনে রাখুন ভারতের এই ডিলের জেরেই বেজিংয়ে বড় প্রোডাকশন কোম্পানি ধাক্কা খেল কীভাবে সামলাবে চিন? ‘ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’ নমোর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ঠিক এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন টেসলা প্রধান এলন মাস্ক। শুধু মাস্কই নয় মাইকেল ফ্রোম্যান থেকে ড্যানিয়েল রাসেল, ডঃ ম্যাক্স আব্রাহাম, এলব্রিজ কোলবি এবং গুরু সাভলে মোদীকে নিয়ে বসল চাঁদের হাট।

তবে তারপরই হয়ে গেল ঐতিহাসিক এক ডিল৷ মোদী রাজ্য গুজরাতে এবার আসছে মাইক্রন চিপ টেস্টিং কোম্পানি। প্রায় ২.৭ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাটর প্যাকেজিং প্ল্যান্টকে ভারতের তৈরি হওয়ার জন্য অ্যাপ্রুভ করে দিয়েছে ভারতের ক্যাবিনেট। একইসঙ্গে সরকার সাবসিডি দেবে মাইক্রনকে। এ খবর নিয়ে এত হইচই কেন? মাইক্রন হল অতিজনপ্রিয় সেমিকন্ডাকটর ম্যানুফ্যাকচারিং জায়েন্ট। বেসিক্যালি এটি একটি মার্কিন কোম্পানি। গুজরাতের ঠিক কোথায় তৈরি হবে এই ফ্যাক্টরি পুরোটা জানা যায়নি। অনেক রিপোর্ট দাবি করছে সানন্দে হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তির ফলে ভারতের প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। সবচেয়ে বড় পয়েন্ট চিপ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ভারতের সামর্থ্য বাড়বে। আত্মনির্ভরতা দিকে কয়েকগুণ এগিয়ে যাবে ভারত। কিন্তু এতে শুধু ভারত নয় মাইক্রন কোম্পানির অনেক বড় ফায়দা রয়েছে।

মে মাসে চিনে বড় ঝটকা খেয়েছিল মাইক্রন কোম্পানি। বলা হয়েছিল মাইক্রন সিকিউরিটি চিপ রিভিউতে ফেল করেছে। চাই একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞাই লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল মাইক্রনের ওপর। বিশেষজ্ঞদের দাবি ছিল আসলে এটা ছিল আমেরিকার ওপর চিনের বদলা। সেমিকন্ডাটর ইন্ডাস্ট্রিতে মারাত্মক যুদ্ধ চলছে দুদেশে কয়েকবছর ধরে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও চিনের সেমিকন্ডাটর ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর নিষেধাজ্ঞা লাগিয়েছিল। এবার যেন ছিল চিনের টিট ফর ট্যাট। কিন্তু তাই বলে ডিল এবারে চিনের হাত ছাড়া হয়ে যাবে আর সেটা চলে যাবে ভারতের কাছে সেটা বোধহয় ভাবতেও পারেনি বেজিং। এছাড়াও ৩ বিলিয়ন ডলার দিয়ে আমেরিকা থেকে MQ-9B ড্রোন কিনবে ভারত তাতে কেন্দ্রের অনুমোদন মিলেছে। এবার মোদী সফরকালেই এর অফিসিয়াল ঘোষণা হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে এবার মোদীর আমেরিকা সফরে যে আদতে চিনের অনেক লস হতে পারে সেটা পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version