মোদীই সবক শেখাবেন কাতারকে! যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিতে ঘুরবে খেলা, দিল্লির নতুন ছক

।। প্রথম কলকাতা ।।

নরেন্দ্র মোদী এবার কাতারকে সায়েস্তা করতে ময়দানে আমেরিকা ইনভল্ভ হতে পারে গোটা বিষয়টাতে, কূটনৈতিক স্তরে হবে বড় খেলা। ২০১৭র মতোই বড় বিপর্যয় কী নামতে পারে কাতারে, কাতার সত্যিই কতোটা  গুরুত্বপূর্ণ ভারতের জন্য ? পাকিস্তানের কি কাতারকে উস্কানোর মতো ক্ষমতা রয়েছে? যে পাকিস্তান বা আইএসআইর চালে ম্যানুপুলেট হয়ে ভারতের ৮ অফিসারকে এত চরম শাস্তি দিল দোহা। এবার আমেরিকাকে মোক্ষম কাজে ব্যবহার করতে পারে দিল্লি তখন কাতার বিপদ সামলাতে পারবে তো? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি আইনি পথে ভারত তো এগোবেই কিন্তু কাতারের ওপর তার সঙ্গেই তৈরি হতে পারে আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক কূটনৈতিক চাপ। ২০১৭র মতো দুর্দশায় কি আবারও পড়তে পারে কাতার? সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে সৌদি-সহ ছ’টি আরব দেশ ও মলদ্বীপ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।

বহু বিশেষজ্ঞদের দাবি ভারতের এই ৮ প্রাক্তন নেভি অফিসারকে বাঁচাতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন মোদী। অন্তত ৮ প্রাক্তন অফিসারের পরিবার তো তেমনটাই চাইছেন। কারণ বছরে নাকি দুবার এমন ধরণের অপরাধ মাফ করে দেয় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ। ভারতকে সঠিক সময় আবেদন করতে হবে। কাতারের আইন বেশ কঠোর এবং এখানকার আদালত অতি দ্রুত এর শাস্তির বিধান দিয়ে দেয়। সেখানে সন্ত্রাসবাদের শাস্তি হয় মৃ্ত্যুদন্ড। যেহেতু এই ঘটনা সন্ত্রাসের নয় তাই শাস্তি কম হতে পারে এমনটাও মনে করছেন বহু আইনঞ্জ। এতটা গোপনীয়তার সঙ্গে এই সাজা কেন দেওয়া হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ভারত কোন পথ ধরে এগোবে সেটা এখনও জানা না গেলেও দিল্লি যে হার মানবে না সেটা বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের কথাতেই স্পষ্ট। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে কাতার ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশ। প্রায় ৭০ শতাংশ এলএনজি গ্যাস ভারত আমদানি করে দোহা থেকে। সেই দুর্বলতারই কোনওভাবে সুযোগ নিচ্ছে তারা? অবশ্য কাতারও ভারত থেকে মুক্ত, দামি ধাতু, কয়েন, আয়রন, স্টিল, প্লাস্টিক সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্য আমদানি করে।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যখন ভারতের কোন নাগরিক অন্যদেশের জেলে বন্দি থাকে তখন মূলত তিনটে রাস্তা খোলা থাকে দেশের কাছে। প্রথমত কনসুলার অ্যাক্সেস যেখানে রাষ্ট্রদূত গিয়ে সেই বন্দিকে কনসুলেট সাপোর্ট দেয়। দ্বিতীয়ত, দূতাবাসের কাছে আইনজীবী থাকে তারা আইনি পথে লড়াই শুরু করে। তৃতীয় ধাপে রাজনৈতিক নেগোসিয়েশন শুরু করা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে পাকিস্তানের এত ক্ষমতা নেই কাতারকে প্রভাবিত করার মতো। কাতার এখানে একটা খেলা খেলছে যাকে বলা হয় পাঞ্চিং অ্যাভব ইওর ওয়েট। এর মানে যতটা না শক্তি তোমার তার থেকে বেশিতে খেলা। এবার এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কীভাবে ইনভল্ভ করতে পারে ভারত বলা হচ্ছে আমেরিকার সঙ্গে যেহেতু দিল্লির সম্পর্ক মজবুত। তাই যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েও কাতারের ওপর কূটনৈতিক চাপ তৈরি করতে পারে ভারত।

যদি বিষয় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার হয় সেক্ষেত্রে হয়ত হোয়াইট হাউসও এই বিষয় থেকে সরে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও ভারতের এমন নীতি নেই নিজেরা চেষ্টা না করে অন্যদেশকে এর মাঝখানে ঢুকিয়ে চাপ তৈরি করবে। তাই কূটনৈতিক মহলের দাবি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে এই সমস্যার ভারত যে মাথা ঠান্ডা করেই এক্ষেত্রে এগোবে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version