।। প্রথম কলকাতা ।।
মধ্যপ্রাচ্যে মোদী ম্যাজিক চরমে। সোজা ৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বে ভারতের অবস্থান কাঁটা হতে পারল না। পাকিস্তানের হতবাক মিডল ইস্টে এমন ঘোষণায় সৌদি- আরব আমিরাত নাকি ইজরায়েল কারা করবেন এত বড় ইনভেস্টমেন্ট? কাতার যত বড় ষড়যন্ত্রই করুক না কেন মধ্যপ্রাচ্যের তাবড় তাবড় দেশ যে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক খারাপ করতে রাজী নয়। সেটা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল এই একটা খবরে। ইজরায়েল- হামাস যুদ্ধ বাঁধার কয়েকমাস আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের একের পর এক দেশে সফর করেছেন। আর এবার বোধহয় সেই ম্যাজিকটাই দেখার পালা। সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করতে পারে। ভারতের অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সম্প্রতি এমনই উঠে এসেছে ব্লুমবার্গের রিপোর্টে। আর এখানেই কার্যত ঝটকা খাচ্ছে ভারতের শত্রুরা। ফিসফাস করে হলেও একটা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তাহলে ভারতের ইজরায়েলর-হামাস যুদ্ধে স্বাধীন প্যালেস্টাইনের সমর্থন করা কোনওভাবেই কোনও প্রভাব ফেলল না ভারত-আরব আমিরাতের সম্পর্কের ওপর।
আপনাদের জানার জন্য বলে দি এই যুদ্ধে কিন্তু ইজরায়েলকেই সমর্থন করছে আরব আমিরাত এবার আসি ভারতের সঙ্গে বিজনেসের কথায়। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে ভারতে ৫ হাজার কোটি ডলারের এই বিনিয়োগের ঘোষণা আগামী বছর করতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। তবে সামনের বছরই ভারতে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন তাই এই ঘোষণা নির্বাচনের আগে হবে না পরে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এটাও জানা যায়নি যে ঠিক কোন খাতে বা কোন সেক্টরে এত বড় ইনভেস্টমেন্ট করতে চলছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। অবশ্য এবার বোঝা যাচ্ছে লাগাতার মোদী আরব সফর আসলে বাস্তবে কতটা এফেকটিভ প্রমাণিত হচ্ছে। মোদীর এবছরের সফর ছিল পঞ্চম আরব আমিরাত সফর। দেশটিতে তার প্রথম সফর ছিল ২০১৫ সালে অগাস্টে, দ্বিতীয়টি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং তৃতীয়টি২০১৯ সালের অগাস্টে এবং চতুর্থটি ২০২২ সালের জুনে সফর করেছিলেন মোদী। ভারতের ওপর যে এত বড় ইনভেস্টমেন্ট করবে আরব সেটা কি মোদী সরকার আগে থেকে জানত? কারণ এ বছরই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গিয়ে বৈঠক করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে। সেখান থেকেই দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর বিষয়টি শোনা গিয়েছিলেন দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কথায়।
শুধুমাত্র সেটাই নয় জ্বালান তেল ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নয়াদিল্লি ও আবুধাবি। তেল ছাড়া অন্য ক্ষেত্রগুলিতে দুদেশের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দুই দেশ। এমনকি উল্লেখযোগ্যভাবে রূপিতে লেনদেন করার চুক্তিও হয় ভারতের সঙ্গে ইউএইর। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন সবচেয়ে বড় কথা হল ভারতে ইউএই-এর বিনিয়োগ ও ব্যবসায় একটি ধারাবাহিকতা রয়েছে। এটিই সবথেকে বড় ব্যাপার কারণ আমরা অনেক দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করি কিন্তু লাগাতার বিনিয়োগ ও ব্যবসার প্রসার দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেটা পাকিস্তান ও আরব আমিরাত দুটি মুসলিম হয়েও তাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। এবার দেখার ভারতের জন্য এত বড় প্যাকেজ ঠিক কবে ঘোষণা করে আরব আমিরাত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম