।। প্রথম কলকাতা ।।
Sim Card Rule: চাইলেই যে কোনও দোকান আর মোবাইলের সিম কার্ড বিক্রি করতে পারবে না। এ জন্য তাদের কড়া নিয়ম মেনে চলতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনও হবে তাদের। তবেই মিলবে মোবাইল সিম বিক্রির অনুমতি। এই নিয়ম না মানলে দিতে হবে মোটা টাকা জরিমানা। গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও শুধু আধার কার্ড দেখালেই আর মোবাইল সিম পাওয়া যাবে না। পার হতে হবে আরও কয়েকটি ধাপ।কোন কোন নিয়ম মানতে হবে নতুন সিম পেতে গেলে?কেন এতো কড়াকড়ি? সিম কার্ডের সাহায্যে সাধারণ গ্রাহকদের মোবাইলে এস এম এস পাঠিয়ে জালিয়াতির ঘটনা এখন রোজই শোনা যায়।
এস এম এসে পাঠানো লিঙ্কে ভুল করে কোনও গ্রাহক ক্লিক করলেই মুহূর্তের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। শুধু আর্থিক প্রতারণাই নয়, ভুয়ো সিম কার্ড তুলে জঙ্গিরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাশকতা ছড়াচ্ছে।আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি ঠেকাতে এবং দেশের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে মোবাইল কানেকশনের ক্ষেত্রে একাধিক এই নতুন নিয়ম চালু করেছে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রক।
এবার থেকে কি কি নিয়ম মানতে হবে?
যে দোকান যে কোম্পানির সিম বিক্রি করবে, সংস্থার তরফে ওইসব দোকানের সম্পর্কে ভালভাবে যাচাই করতে হবে। কেওয়াইসি অর্থাৎ ‘নো ইওর কাস্টোমার’- এই পদ্ধতিতে তা যাচাই করা হবে। চলতি বছর পয়লা অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হবে। যেসব দোকান এখন সিম বিক্রি করে তাদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নতুন নিয়ম অনুসারে কেওয়াইসি- র যাবতীয় কাজকর্ম করে নিতে হবে। এরপর যেসব দোকান সিম বিক্রির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে ১ অক্টোবর থেকে চালু হবে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমের নতুন কেওয়াইসি নিয়ম।অর্থাৎ জিও বা এয়ারটেল, কোনও দোকান যে সংস্থার সিম বিক্রি করবে, সেই কোম্পানির মাধ্যমেই এই ভেরিফিকেশন বা যাচাই প্রক্রিয়া চলবে।
এবার থেকে কীভাবে সিম বিক্রি করা হচ্ছে, কোন দোকান কাকে কোন সিম বিক্রি করছে, কোন পদ্ধতিতে বিক্রি চলছে, ক্রেতা সুরক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন সেইসব ওই দোকান করছে কিনা এই সবকিছুই নখদর্পণে রাখতে চলেছে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম। যদি সিম নির্মাণকারী সংস্থা দোকানের কেওয়াইসি ভালভাবে খতিয়ে না দেখে তাহলে তাকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে টেলিকম সংস্থাকে। প্রতি দোকান পিছু ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ কীভাবে বিক্রি করা হচ্ছে, কাদের বিক্রি করা হচ্ছে সবটাই দেখাতে হবে টেলিকম কোম্পানিগুলিকে। অসম, কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম আরও কঠোর করা হচ্ছে।এখানে টেলিকম সংস্থাগুলিকে দোকানগুলির পুলিশ ভেরিফিকেশন করাতে হবে। এই ভেরিফিকেশনের পর ওই দোকানগুলিকে সিম বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে এবং চূড়ান্ত চুক্তি করা হবে। এরপরই নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে ওই দোকানগুলি।
গ্রাহকদের ক্ষেত্রে কি নিয়ম?
আগে ভোটার কার্ড দিয়ে সিম পাওয়া যেত। এখন ক্রেতাদের আধার ভেরিফিকেশনও করা হয়। এবার থেকে আপনার সম্পর্কে বাড়তি তথ্য জানাতে হবে বিক্রেতাকে।এবার থেকে আপনার সিম নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলে তা পাওয়া সহজ হবে না। তখনও আপনাকে একই ধরনের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ সিম রি-ইস্যুর ক্ষেত্রেও কড়া নিয়ম চালু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডুপ্লিকেট সিমের মাধ্যমে অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করে হ্যাকাররা।এইসব থেকে ইউজারদের বাঁচানোর জন্যই সিম বিক্রির দিকে কড়া নজর দিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ লক্ষ ভুয়ো সিম কার্ড চিহ্নিত করে বাতিল করে দিয়েছে টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রক।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম