Cyclone Michaung: ডিরেক্ট বাংলাদেশে হিট করবে মিগজাউম? সেন্টমার্টিন কতটা রিস্কে। ল্যান্ডফলেই ভয়

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cyclone Michaung: ডিরেক্ট বাংলাদেশে হিট করবে মিগজাউম ? আবার কি তছনছ হতে পারে ওপার বাংলার এই দ্বীপ? সেফ নয় বরিশাল, চট্টগ্রাম ও? আবহবিদ মোস্তফা কামাল পলাশের আশঙ্কা মিলে গেলে, কতটা রিস্কে বাংলাদেশ? জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধসের আশঙ্কা?মিগজাউমের এফেক্টে এপার বাংলাতেও টানা বৃষ্টি? এক্স্যাক্টলি ল্যান্ডফল কবে, কোথায়? নজর রাখুন মিগজাউমের ফ্রেস আপডেটে।সাবধানতা অবলম্বন করুন, নিরাপদে থাকুন। ২৯ নভেম্বর থেকেই কিন্তু খেলাটা শুরু হয়ে যাবে। মিগজাউমের সিস্টেমটাই ভয়ঙ্কর। অলরেডি আবহাওয়া বিগড়ে যাচ্ছে।

আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে তৈরি হওয়া লঘুচাপ শক্তি সঞ্চয় করে ২৯ নভেম্বর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর পর নিম্নচাপটি ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ও ডিসেম্বর মাসের ৩ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা।  ঘূর্ণিঝড়ের রুপ নিলে এর নাম হবে “মিগজাউম”। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ঘিরে বাংলাদেশের টেনশন বাড়ছে। মিগজাউম ঘূর্ণিঝড় হামুন ও মিধিলির থেকেও বেশি শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
ক্ষতি এড়াতে আগে থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। এমনকি ঘূর্ণিঝড়টা হিট করার আগেই পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ না ছাড়লে আটকা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাণহানি ও নৌকাডুবি এড়াতে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি উপকূলে ফেরত আসতে হবে সমুদ্রে যাওয়া জেলেদের। ঘূর্ণিঝড়টি ডিসেম্বর মাসের ৩ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলে থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো এলাকার উপকূলে আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

অলরেডি, কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশের ফেসবুক পোস্টের এইসব আশঙ্কা ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক আবহাওয়া কেন্দ্রের মডেল পূর্বাভাসে বাংলাদেশের উপকূলের দিকেই ঘূর্ণিঝড়টা এগোতে পারে বলে উল্লেখ। মিগজাউম আঘাত আনলে তা হবে চলতি বছর বাংলাদেশে চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়ের অ্যাটাক। আবহবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলছেন, সম্ভাবনা বেশি যে এই ঘূর্ণিঝড়টিও একই পথে উপকূলে আঘাত করার, যে পথে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। অর্থাৎ বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যবর্তী উপকূলীয় জেলাগুলোর ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টির স্থল ভাগে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় অলরেডি ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করে দেওয়া হয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ২৯ নভেম্বর ও ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। শুধু বাংলাদেশ নয়, রিস্কে আছে ভারত, মিয়ানমারও।

গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। আঘাতের সময় পটুয়াখালীতে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার। কম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রাণহানি ও হয়েছে। আর এবার ধেয়ে আসছে মিগজাউম। এপার বাংলায় মিগজাউম এর তেমন এফেক্ট পড়বে না বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। বাংলায় সমুদ্র থাকবে উত্তাল। ওপো গুলি ও জেলাগুলোতে আকাশ থাকবে মেঘলা। জেলায় জেলায় পারদ পতন আগেই শুরু হয়েছিল। ক’দিন ধরে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকাগুলিও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছে। শীত প্রায় এসে গিয়েছে ধরে নিয়ে লেপ, কম্বলও বেরিয়ে পড়েছে। কিন্তু শীতের আসার পথে বড় বাধা ঘূর্ণাবর্ত। জানা গেছে, আগামী কয়েক দিনে কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকাগুলিতে তাপমাত্রা আপাতত ২০ ডিগ্রির আশপাশেই থাকবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে কার্যত শীতের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে।

ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ পশ্চিমের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। পশ্চিমে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে, মিগজাউম সৃষ্টি হলে সেটি হবে চলতি বছরের সবথেকে বড় ঘূর্ণিঝড়, ইঙ্গিত সাইক্লোন বিশেষজ্ঞদের। বছর শেষের এই বড় ঘূর্ণি বিপর্যয়কে কিভাবে সামাল দেবে বাংলাদেশ, মিয়ানমার। এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version