Vinayaka Chaturthi: বিনায়ক চতুর্থীতে একাধিক শুভ যোগ, গণেশ আরাধনায় ফিরবে ভাগ্য!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Vinayaka Chaturthi: আপনি যদি গণেশজির ভক্ত হয়ে থাকেন তাহলে সামনেই রয়েছে বিনায়ক চতুর্থী (Vinayaka Chaturthi)। এই দিন ভক্তি ভরে আরাধনা করলে মিলতে পারে সুফল, রয়েছে একাধিক শুভ যোগ। প্রতি মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে বিনায়ক চতুর্থী ব্রত পালন করা হয়। ফাল্গুন মাসে বিনায়ক চতুর্থী পড়েছে ২৩শে ফেব্রুয়ারি। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে ভগবান শ্রী গণেশের পুজো এবং উপবাস পালন করলে ভক্তের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। জীবনে ক্রমাগত সাফল্যের সাথে জ্ঞান এবং ঐশ্বর্য আসে। এই দিনে চন্দ্র দর্শনেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে চাঁদ দেখা হলেই চতুর্থীর উপবাস সম্পন্ন হয়, তাই চতুর্থীর দিন চাঁদ দেখে অর্ঘ্য অর্পণ করা উচিত। এই দিন ভগবান গণেশকে অর্ঘ্য নিবেদন করলে সৌভাগ্য লাভ হয়। পাশাপাশি পরিবারের সমস্ত সদস্যের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। হিন্দু সংষ্কৃতি অনুযায়ী, চতুর্থী চন্দ্র মাসে দুবার পড়ে। ভগবান গণেশ চতুর্থী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই এই তিথিটি ভগবান গণেশকে উৎসর্গ করা হয়। অমাবস্যার পর শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিকে বলা হয় বিনায়ক চতুর্থী এবং পূর্ণিমার পর আসা কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিকে সংকষ্টী চতুর্থী বলা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার যদি চতুর্থী তিথি পড়ে তাহলে তাকে অঙ্গারকি বা অঙ্গারক চতুর্থী বলে।

ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি ২৩শে ফেব্রুয়ারি ভোর ৩টে ২৪ মিনিটে শুরু হবে এবং ২৪শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে শেষ হবে। ২৩শে ফেব্রুয়ারি উদয় তিথিতে বিনায়ক চতুর্থী উপবাস পালিত হবে। এই দিনে পুজোর শুভ সময় সকাল ১১টা ২৬ মিনিট থেকে ১টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত। পঞ্জিকা ভেদে সময়ের সামান্য হেরফের রয়েছে। এবার বিনায়ক চতুর্থীর উপবাসের দিনে ৪টি শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে। শুভ যোগ খুব ভোরে শুরু হবে, যা রাত ৮টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত চলবে। শুক্ল যোগ শুরু হবে সারা রাত এবং পরের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। সেই সঙ্গে বিনায়ক চতুর্থীর দিন জুড়ে থাকবে রবি যোগ। সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ থাকবে ২৪শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা ৫মিনিট থেকে ২টো ১৪মিনিট পর্যন্ত।

শাস্ত্র অনুযায়ী, বিনায়ক চতুর্থীর দিনে একজন ব্যক্তির উচিত ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান ও ধ্যান করা। স্নানের পর সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে ভুলবেন না। এরপর বিনায়ক চতুর্থীর ব্রত নেবেন এবং ভগবান গণেশের যথাযথ ভাবে পুজো করবেন। পুজোয় গণপতিকে ফুল, ধূপ, প্রদীপ ইত্যাদি নিবেদন করবেন এবং ভোগে নারকেলের তৈরি মিষ্টি বা মোদক রাখবেন। এরপর গণপতি জির প্রিয় স্তোত্র পাঠ করবেন। সবশেষে আরতির পরে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version