মনিপুরকাণ্ড মায়ানমারের চক্রান্ত! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট ফাঁস, দিল্লি ক্ষোভে জুন্টার পরিণাম কী?

।। প্রথম কলকাতা ।।

মণিপুর কাণ্ডের নেপথ্যে মায়ানমারের ষড়যন্ত্র। বিবিসি রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সব দায় ঝেড়ে ফেলছে মায়ানমার বাংলাদেশ সাবধান। মায়ানমারকে সব সাহায্য বন্ধ করে দেবে দিল্লি? মণিপুর নিয়ে ফুঁসছে ভারত৷ আসল গন্ডগোলের সূত্রপাত কোথায় জানেন? মণিপুরের পরিস্থিতি বর্তমানে আন্ডার কন্ট্রোল হলেও কি গোড়ায় সমস্যা মিটবে? বিবিসির রিপোর্ট বলছে মায়ানমারকে নিয়ে ভারত ক্ষুব্ধ। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর কথাবার্তাতে একেবারে তা স্পষ্ট। কিন্তু মণিপুরের গন্ডগোলে নেপথ্য মায়ানমারকে সন্দেহ করার কারণ কি?

দুটো দেশ আর তাদের কিছু নীতিই বাড়াল উত্তেজনা। মায়ানমারের জুন্টা কীভাবে নাড়ল কলকাঠি বোঝার আগে এটাসস জানুন। মণিপুরে সাধারণত দুই জাতির বসবাস মৈতেয়ী ও কুকি। ইম্ফল ভ্যালি মানে সমতল রয়েছে মৈতেয়ীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। পাহাড়ে তার উল্টো কুকিদের রাজত্ব। মৈতেয়ীদের দাবি ছিল তাদেরকে সিডিউল ট্রাইবের অ্যাখ্যা দেওয়া হোক। যাতে তারা পাহাড় এলাকাতেই জমি কিনতে পারে। কুকিদের থেকে তুলনামূলক বিভিন্ন সুযোগ ও ক্ষমতার অধিকারী মৈতেয়ীদের। এমন দাবি মেনে নিতে পারেনি কুকীরা ব্যস তারপরই অশান্তি শুরু। বিবিসির রিপোর্ট বলছে, অবৈধভাবে হাজার হাজার কুকি সম্প্রদায়ই আসলে মায়ানমার থেকে ঢুকছে মণিপুরে৷ কিন্তু কীভাবে সীমান্তে কড়া পাহাড়া নেই?

মিয়ানমার আর মণিপুরের মধ্যে প্রায় ৩৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। বিবিসির দাবি, এই সীমান্ত অনেকটাই শিথিল সেখানে কোনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। দু’পারের স্থানীয় মানুষের মধ্যে যাতায়াতও বেশ অবাধ। গত দু-আড়াই বছরে সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমারের যে হাজার হাজার নাগরিক ভারতের মণিপুরে এসেছেন। ভারতের ওই রাজ্যটিতে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য তাদের একটা বড় ভূমিকা আছে এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। শুধুমাত্র অবৈধ অনুপ্রবেশ নয় এদের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে মাদক পাচার, আফিম চাষ অভিযোগ কুকি শরণার্থীরা মণিপুরে এসে পাহাড়ে জায়গাজমি জবরদখল করছেন সেখানেই চলছে তাদের অবৈধ কারবার। অভিযান চালালেই ড্রাগ মাফিয়ারা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। খ্রীস্টান কুকিদের বেশিরভাগই চায় না হিন্দু মৈতেয়ীরা তাদের এলাকায় ঢুকুক।

প্রশ্ন উঠছে, মায়ানমারের জুন্টার পক্ষে ভারতের নরম নীতিই কি আরও বাড়িয়ে তুলল অশান্তি? ২০২১র সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমারের কাছে ভারতের অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। তাতে চীনের প্রভাব কমেছে ঠিকই কিন্তু মায়ানমার পেয়ে বসেছে। মণিপুর সরকার কিন্তু স্পষ্টতই এখনও মনে করছে তাদের রাজ্যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার পেছনে মায়ানমার থেকে আসা নাগরিকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। মণিপুর নিয়ে মায়ানমারের ওপর ভারত কার্যত ফুঁসছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বুঝিয়ে দিলেন পুরোপুরি তবে মায়ানমারের সাহস হয়নি মণিপুর নিয়ে একটাও কোনও মন্তব্য করার। তাহলে এবার কি মায়ানমারের ওপর থেকে হাতটা তুলে নেবে ভারতবর্ষ? কিন্তু তারপরও এই অনুপ্রবেশ রোখা যাবে কিনা তা নিয়ে রীতমত সন্দেহ প্রকাশ করছেন কূটনৈতিক মহল। ভারত কোন কড়া স্টেপ নেয় সেটাই এখন দেখার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version