।। প্রথম কলকাতা ।।
মালদ্বীপকে ভারত ওপর থেকে নীচ স্ক্যান করছে। চীন আহ্লাদে আটখানা হলেও দিল্লি দিল কড়া বার্তা। মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কায় বড় কিছু ঘটবে ভারত সতর্ক। এমনি এমনি ভারতের সঙ্গে চুক্তি ভাঙলেন না মইজ্জু, জানতে হবে আসল কারণটা। ভারত মহাসাগর লাগোয়া দ্বীপরাষ্ট্রকে গুলোয় চীনের রক্তচক্ষু। ঘাঁটি গেড়ে তবেই শান্তি পিএলএ আর্মি। ভারতের সহ্যের সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে এবার ফের চীনের গুপ্তচর জাহাজ ওত পাতবে ভারত মহাসাগরে। দিল্লির করণীয় কী? হুট করে বড় কোনও অ্যাকশন নেওয়াটাই শেষ কথা নয় তার ওপর মালদ্বীপ যেন নিজের পায়েই মারল কুড়ুল। ভারতকে মাত্র কয়েকটা মাসের মধ্যে মালদ্বীপ ভিলেন বানিয়ে দিল। সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার পর এবার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করল সেদেশের সরকার। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে চুক্তি।ক্ষমতায় এসেই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেন নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু কী ছিল এই হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে চুক্তি?
এই চুক্তি বাতিলের ঠিক আগের খবরটাই মারাত্মক। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কার্যত হুমকি আর সেটা হল চীনা গুপ্তচর জাহাজ ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগর থেকে ভারত মহাসাগরে ঢোকার জন্য মলাক্কা প্রণালীর দিকে যাত্রা শুরু করেছে। শ্রীলঙ্কা ঘুরে ওই জাহাজটি ভারতের পড়শি আর এক দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপেও নোঙর করবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। আর এখানেই আসলে গন্ডগোল ভারতের তরফ থেকে কী অ্যাকশন নেওয়া হল? নয়াদিল্লির তরফে শ্রীলঙ্কা এবং মলদ্বীপকে চীনা চর জাহাজকে তাদের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার ‘বার্তা’ পাঠানো হয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। তাতে ‘কাজ’ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কূটনৈতিক এবং পর্যবেক্ষকদের একাংশের মনে। এবার আসি মালদ্বীপের এই সংক্রান্ত চুক্তি বাতিলের প্রসঙ্গে হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে চুক্তি দুই দেশের এই চুক্তি অনুযায়ী মালদ্বীপের জলসীমায় পরীক্ষামূলক কাজকর্ম চালাবে ভারতীয় নৌসেনা। তার ফলে নৌপরিবহন, আর্থিক উন্নতি, পরিবেশরক্ষার মতো নানা ক্ষেত্রে একে অপরকে সাহায্য করবে দুই দেশ।
এছাড়াও জলসীমায় নিরাপত্তা বাড়াতেও কার্যকরী ভূমিকা থাকবে ভারতীয় নৌসেনার। চুক্তি অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত তিনবার মালদ্বীপে কাজ করেছে ভারতীয় নৌসেনা কিন্তু চুক্তির শর্তাবলি তুলে ধরেই বৃহস্পতিবার এটি বাতিল করেছে মালদ্বীপ সেদেশের প্রশাসনের তরফে জানানো হয় আগামী দিনে মালদ্বীপের জলসীমায় কেবল দেশের সংস্থাগুলোই কাজ চালাবে জলসীমা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মালদ্বীপের বাইরে বেরবে না। আরও বলা হয়, পূর্ববর্তী সরকার বেশ কিছু চুক্তি করেছিল যেগুলো দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার পরিপন্থী সেগুলো খুঁজে বের করে পর্যালোচনা করে দেখা হবে। মালদ্বীপের একের পর এক সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য অবশ্য কৌশলগত ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ধাক্কা, কিন্তু এখনও পর্যন্ত দিল্লি ঠান্ডা মাথাতেই গোটা পরিস্থিতি সামলাতে দেখা গিয়েছে। এবার দেখার ভারতের এক্ষেত্রে আগামী স্টেপ কি হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম