Mir Afsar Ali: প্রেম করে বিয়ে! মীরের স্ত্রীকে চেনেন? সিনেমাকেও হার মানাবে তাঁদের বিয়ের গল্প

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Mir Afsar Ali: মীরকে তো আপনারা সেই কবে থেকেই চেনেন। তাঁর পুরো নাম মীর আফসার আলি। তবে মিরাক্কেলের মীর নামেই বেশি পরিচিত তিনি। কখনও তিনি সানডে সাসপেন্সের গল্প পাঠক। আবার কখনও তিনি রেডিও জকি। তাঁর খ্যাতি এখন দেশজোড়া। কিন্তু আপনারা কী মীরের স্ত্রী ও কন্যাকে চেনেন? মীরের স্ত্রী আসলে কে জানেন!কিভাবে মীরের সঙ্গে সম্পর্ক হয় তাঁর?

 

মীরের স্ত্রীর নাম সোমা ভট্টাচার্য। পেশায় তিনি একজন ডাক্তার। ২৭ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তার আগে বেশ কয়েক বছর চলে প্রেম পর্ব। সেই গল্পটাও বেশ রোমাঞ্চকর।অনেকটা ঠিক সিনেমার মত। চলুন সেই কাহিনী শুনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে।

 

সোমা আসলে মীরের অনেক বড় ভক্ত ছিলেন। তখন মীর রেডিওতে চাকরি করেন। সেসময় সোমা নীলরতন মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। মীরের শোয়ের জন্য একটি ফ্যান লেটার লিখে পাঠিয়েছিলেন সোমা। সেটা রেডিওতে পড়ে শুনিয়েছিলেন মীর। তারপর সোমাকে চিলড্রেন্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের একটি টিকিট দেওয়া হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে গিয়েই প্রথম সামনাসামনি আলাপ হয় মীর এবং সোমার। প্রথমে বন্ধুত্ব তারপর তাদের প্রেম হয়। এরপর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

 

মীর এবং সোমার বিয়ে হয়েছিল খুব সাধারণভাবে। কাছের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন নিয়েই তাদের বিয়েটা হয়। প্রথমে কাছের বন্ধুদের ডেকে রেজিস্ট্রি করেছিলেন। মেনুতে ছিল সিঙ্গারা, চানাচুর, মিষ্টি আর কোল্ড ড্রিঙ্কস। এরপর তারা সামাজিক বিয়ে করেন। আসলে ওই সময় তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা তেমন ছিল না। বিয়ের পর তারা কলকাতাতেই থাকবেন স্থির করেন। তাই তাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। মীর এবং সোমার একমাত্র মেয়ের নাম মুসকান।

 

স্ত্রী এবং কন্যাকে নিয়ে ভালো-মন্দ মিশিয়ে ২৭ টা বছর পার করে ফেললেন মীর। রেডিওর কাজ তিনি ছেড়েছেন ২ বছর আগে। নিজস্ব পরিচালনায় খুলেছেন নতুন ইউটিউব চ্যানেল ‘গপ্প মীরের ঠেক’। সানডে সাস্পেন্স, মির্চি বাংলার মত এই চ্যানেলটাও দাঁড়াতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ব্যক্তিগত জীবনকে সেভাবে কখনও সামনে আনেননি মীর আফসার আলি। তাঁর স্ত্রী-কন্যা প্রচারের আলো থেকে অনেকটাই দূরে থাকেন। তবে বউকে জানালেন বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা। মীর এবং সোমা তাদের ২৭তম বিবাহ বার্ষিকী পালন করছেন ফ্রান্সে।

 

https://www.facebook.com/share/X1WvHjigJGLzWgm9/

 

সোমার পরনে রয়েছে কালো রংয়ের টি-শার্ট এবং নীল জ্যাকেট। মীরের পরনে রয়েছে অলিভ রঙের একটি জ্যাকেট। পড়ন্ত সূর্যের আলোয় গোটা আকাশ লাল। সেই ছবি শেয়ার করে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, “হ্যাপি অ্যানিভার্সারি ডাক্তার। ২৭ বছর, তারপর আর কে গোনে…”। এই পোস্টের নিচে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিচ্ছেন মীর ভক্তরাও। একজন লিখেছেন, দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকতে থাকতে একইরকম দেখতে হয়ে যায়।’ আরও একবার এটা সত্যি প্রমাণ হল। দ্বিতীয়জনের মন্তব্য, ‘মিসেস ক্যাপ্টেন খুব সুন্দরী। আপনাদের দুজনকেই বিবাহবার্ষিকীর অনেক শুভেচ্ছা’।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version