লিবিয়ার বুকে গুপ্তধন ? ভূমধ্যসাগরে রাজত্ব করবেন পুতিন, গোপন ডেরা টেনশন বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের

।। প্রথম কলকাতা ।।

লিবিয়ার মাটিতে লুকনো “সোনার পাথড়বাটি”? ভূমধ্যসাগরের বুকে থরে থরে সাজানো হচ্ছে খতরনাক সব অস্ত্র? গোপনে ডেরা বাঁধার প্ল্যান পুতিনের। যুক্তরাষ্ট্রের আতশকাঁচের তলায় মস্কো। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে কুরে কুরে খাবে রাশিয়ার ঘুণপোকা? ঝাঁকে ঝাঁকে রুশ যুদ্ধজাহাজ কেন ছুটে যাচ্ছে লিবিয়ার দিকে? উত্তর আফ্রিকায় ঘটতে যাচ্ছে বড় কিছু। ভূমধ্যসাগরের বুকে রাজত্ব কায়েম করতে যাচ্ছে রাশিয়া। লিবিয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে পুতিনের দেশ। স্বার্থসিদ্ধির মৌচাক উত্তর আফ্রিকার এই রাষ্ট্রই। মস্কো বিষদৃষ্টিতে বসিয়ে রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্লাডপ্রেসার বাড়ছে। খোলসা করে বলি লিবিয়ায় সামরিক ঘাঁটি বানাতে যাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং লিবিয়ার খলিফা হাফতারের মধ্যে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পথে। পথেশুধুই কী তাই? তলে তলে অনেক বড় ডিল হয়েছে।

লিবিয়ার শহর তবরুক বন্দরে নিজেদের যুদ্ধজাহাজ নোঙর করাবে রাশিয়া। গ্রিস ও ইতালি থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরেই এই বন্দর। বলতেই হচ্ছে এতে ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লিবিয়ারও লাভ আছে। শত্রুদেশের থেকে লিবিয়ার আকাশ থাকবে সেফ। এর জন্য হাফতার পাবেন রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তাদের প্রচুর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও মিসাইল প্রয়োজন। এছাড়া রাশিয়া লিবিয়ার বিমান বাহিনীর পাইলট ও স্পেশাল ফোর্সকে প্রশিক্ষণও দেবে। মোট কথা, বেনিফিট রাশিয়া লিবিয়া দুইয়েরই রয়েছে। আর এই বিষয়টাকেই যুক্তরাষ্ট্র ভালো চোখে দেখছে না। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার এই প্রভাব  বিস্তারের বিষয়টিকে কড়া নজরে রেখেছে। হিসেবটা বুঝতে হবে। রাশিয়াকে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান স্ট্র্যাটেজিক অবস্থান। সেক্ষেত্রে রাশিয়া যদি লিবিয়ায় বন্দর তৈরি করে, তবে গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করা পুতিনের জন্য হবে জলভাত।

মনে করিয়ে দিই, এখনও পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে রাশিয়ার শুধুমাত্র একটি নৌঘাঁটি রয়েছে, সেটা সিরিয়ার তারতুসে। আর এবার লিবিয়ার তবরুক ক্যাপচারের প্ল্যান মস্কোর। পুরো বিষয়টা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তোলপাড় শুরু হলেও লিবিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য সামরিক চুক্তি নিয়ে ক্রেমলিন থেকে শুরু করে লিবিয়ার ন্যাশনাল আর্মি, কেউই মুখ খোলেনি। জানিয়ে রাখি, বর্তমানে প্রধান দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ লিবিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। একটি ত্রিপোলিভিত্তিক গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটি এবং অপরটি পূর্ব লিবিয়াভিত্তিক গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল স্ট্যাবিলিটি মানে জিএনএস। জিএনএসকে সমর্থন করে হাফতারের ন্যাশনাল আর্মি! এটি মুয়াম্মার গাদ্দাফির সেনাবাহিনীরই একটি বড় অংশ। এই গ্রুপের প্রশ্রয়ে আছে আরও বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপ। হাফতার বাহিনীকে সমর্থন করে রাশিয়া, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফ্রান্স।

আর পশ্চিমা দেশগুলো ত্রিপোলিভিত্তিক গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটি গ্রুপটিকে সমর্থন করে ঠিক এখানেই কাহানী মে ট্যুইস্ট। যেখানে লিবিয়া একটা ঘুঁটি। আসল খেলা তো চলছে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version