।। প্রথম কলকাতা ।।
আরও একটা মহামারী? ঝড়ের গতিতে বিশ্বজুড়ে হু হু করে ছড়াচ্ছে এ কোন রহস্যময় রোগ? কোভিডের ডিটো প্রাণঘাতী নিউমোনিয়া? নাকি তার চেয়েও বেশি ডেনজারাস? সিম্পটমগুলো জেনে আগেভাগেই সাবধান হোন। কাজাখস্থানের অজানা নিউমোনিয়ার কথা মনে আছে তো? ছুঁলেই কি শরীর পচে যাচ্ছে? চীন কি ছড়িয়ে দিল এটা? কোন বয়স আছে “অজানা নিউমোনিয়ার” রিস্কজোনে? কোন নতুন বিপদে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়াচ্ছে গোটা পৃথিবী? কোভিডের এফেক্ট কাটতে পারলো না। ছেয়ে যাচ্ছে কোন ভয়ংকর অজানা রোগ? বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কিন্তু কীসের ভয়ে কাঁটা গোটা বিশ্ব? উপসর্গগুলোর সঙ্গে কোভিডের মিল কোথায়? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘রহস্যময়’ নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের প্রদাহ আর গায়ে হাত পায়ে অসম্ভব ব্যাথা! তবে সাধারণ নিউমোনিয়ার মতো এই রোগে কোনও কাশি নেই।
এখনও কোভিড-১৯ অতিমারির প্রভাব থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেনি গোটা বিশ্ব। তার মধ্যেই আবার নতুন করে আতঙ্ক শি জিনপিংয়ের দেশে। অজানা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চীনে বহু শিশু হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসাধীন। অনেকের কাশি বা অন্য কোনও উপসর্গ নেই। তবে প্রবল জ্বর এবং ফুসফুসে প্রদাহ রয়েছে। মূলত বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশের স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে এই রহস্যময় নিউমোনিয়া হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে। এই দুই জায়গায় শিশু হাসপাতালগুলো নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুতে ভরে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুলে পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অর্থাৎ, এই রোগে মূলত শিশুরা আক্রান্ত হলেও ছাড় পাচ্ছেন না বড়রাও।
যার জেরে কার্যত জরুরি অবস্থা হাসপাতালগুলোতে। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। চীনের স্থানীয় চিকিৎসকরা বলছেন, বেজিংয়ের বহু হাসপাতালের পরিস্থিতি করোনার শুরুর দিনগুলির মতো। এই রোগের পিছনে কোন ভাইরাস দায়ী, তার চরিত্রই বা কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্কুলে পাঠরত শিশুদের মধ্যেই যেহেতু সংক্রমণ বেশি, তাই স্কুল থেকেই রোগটি ছড়িয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।আন্তর্জাতিক রোগ নজরদারি সংস্থা ProMed এই পরিস্থিতিতে লাল সতর্কতা জারি করেছে মঙ্গলবার।অন্যদিকে, আমেরিকার এপিডেমিওলজিস্ট এরিক ফিগল-ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে চিনের লোকজনকে মাস্কে মুখ ঢেকে রাস্তায় বেরোতে দেখা গিয়েছে। ভিডিও-টির সত্যতা যদিও যাচাই করেনি প্রথম কলকাতা। তবে রোগ বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়ে-তে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, যা আসলে একটি ব্যাকটিরিয়া জনিত সংক্রমণ।চলতি কথায় ‘ওয়াকিং নিউমোনিয়া’ নামেও পরিচিত এই রোগ।
যাতে মাঝারি মানের সংক্রমণ থেকে পরিস্থিতি গুরুতর হচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে এই রোগে। যদিও এই রহস্যজনক নিউমোনিয়ায় এখনও কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু রোগটাকে মোটেই হালকা ভাবে হালকাভাবে দেখছেনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিনের চিকিৎসক এবং গবেষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে চীনের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে হু। মনে করিয়ে দিয়ে ২০২০ সালে কাজ়াখস্তানে এক অজানা নিউমোনিয়ায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর হার করোনাভাইরাসের কারণে হওয়া নিউমোনিয়ার চেয়ে অনেক বেশি। ওই রহস্যজনক প্রাণঘাতী নিউমোনিয়ার সঙ্গে চীনে ছড়ানো এই নিউমোনিয়ার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম