।। প্রথম কলকাতা ।।
Israel Hamas War: এখনো হাল ছাড়েনি হামাস। উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে হামাস আর ইসরায়েল যুদ্ধের মাত্রা। যা ভাবিয়ে তুলেছে গোটা বিশ্বকে। এত আলাপ আলোচনার পরেও যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। এসবের মাঝে হুঁশিয়ারি দিল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। হামাসকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, নয় মরতে হবে। এছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা নেই। প্রশ্নটা এখানেই, গাজায় শান্তি আসবে কবে? গাজার মানুষ কবে স্বস্তিতে থাকতে পারবে?
গত দুই মাস ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারো হামাস নির্মূলের কথা বলেছেন। নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যে কোনও মূল্যে হামাসকে নির্মূল করতে তাদের মিশন শেষ করতে হবে। এই বিবৃতির মাধ্যমে নেতানিয়াহু আবারও যুদ্ধ বন্ধের সকল প্রচেষ্টাকে পিছিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয়বারের মতো, জিম্মি সম্পর্কিত আলোচনা স্থবির বলে মনে হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়নি।
এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা বিজয় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করছি। যতক্ষণ না আমরা এর সব লক্ষ্য অর্জন না করি ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ বন্ধ করব না। হামাসের ধ্বংস এবং সকল জিম্মিদের মুক্তিই আমাদের লক্ষ্য”। তিনি আরও বলেন, ‘হামাস খুব সহজ বিকল্পের মুখোমুখি। আত্মসমর্পণ কর নতুবা মারা যাবে। এ ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই”। নেতানিয়াহু আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘হামাস নির্মূল করার পর, গাজা যাতে ইসরায়েলকে কখনও হুমকি না দেয় তা নিশ্চিত করতে আমি আমার সমস্ত শক্তি ব্যবহার করব।’ এই সপ্তাহে নেতানিয়াহুর জারি করা কয়েকটি বার্তার মধ্যে এটি একটি।
নেতানিয়াহুর এই বিবৃতি এমন সময় এসেছে যখন মিশর ও কাতার গাজায় একটি চুক্তির জন্য ইসরাইল ও হামাসের সঙ্গে আলাদা আলোচনা করছে। এই চুক্তি ১২৯ জিম্মি মুক্তি নিশ্চিত করবে। নভেম্বরের শেষের দিকে চুক্তির পর, হামাসের বন্দিদশা থেকে ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে আইডিএফ ঘটনাক্রমে তিন পুরুষ জিম্মিকে হত্যা করার পর নেতানিয়াহুর উপর একটি চুক্তি করার জন্য জনসাধারণের চাপ বেড়েছে। হামাসও এর সুযোগ নিচ্ছে। হামাস বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি না করা পর্যন্ত কোনো চুক্তি হবে না। যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ না হয় কোনো জিম্মিকে মুক্তিও দেওয়া হবে না। হামাস আরো জানিয়েছে, এই আহ্বানে ফিলিস্তিনি সব দল একত্রিত হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম