Lata Mangeshkar: লতা মঙ্গেশকর আজও এক নস্টালজিয়া ! বিয়ে না করেও পরতেন সিঁদুর

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Lata Mangeshkar: লতা মঙ্গেশকর আজও এক এবং অদ্বিতীয় কেন? মাত্র ২৫ টাকা দিয়ে শুরু করেছিলেন কেরিয়ার। অথচ সেই লতাই হয়ে ওঠেন বলিউডের সবচেয়ে দামি গায়িকা। হয়ে ওঠেন কয়েকশো কোটির মালকিন। আচ্ছা মৃত্যুর পর গায়িকার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তিরই বা কী হল? তাঁর সেই কুকুরটি আজ কোথায়? বিয়ে না করেও কিন্তু সিঁদুর পরতেন লতাজি। কার নামে জানেন? নামটা শুনলে চমকে উঠবেন। তাহলে চলুন আজ শুনে নিই আমাদের প্রিয় লতাজির জীবনের কিছু অজানা কাহিনী।

 

লতাজি মানেই এক নস্টালজিয়া। যার জীবনের সবটাই খোলা পাতা। আবার সবটাই যেন রহস্যও। জানেন, ছয় এবং সাতের দশকে একটা গানের জন্য পুরো একশো টাকা নিতেন তিনি। আজকের দিনে সেই টাকার মূল্য হয়ত কিছুই নয়। তবে সেই সময়ে এটাই কিন্তু এক বিরাট অ্যামাউন্ট ছিল। নির্মাতারা এই টাকা দিতেই হিমশিম খেতেন তখন। ভাবতে পারছেন?

 

মাত্র ২৫ টাকা দিয়ে কেরিয়ার শুরু করা লতাজি হয়ে ওঠেন কমবেশি ৩৬০ কোটি টাকার মালকিন। জানেন, লতাজি গাড়ি ভীষণ ভালোবাসতেন। যশ চোপড়া তাঁকে উপহার দিয়েছিল একটি মার্সেডিজ। তার একটি ক্রিসলার গাড়িও ছিল। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, লতাজির প্রয়াণের পর তাঁর এই বিপুল সম্পত্তির কী হল? শোনা যায় এই ব্যবস্থা তিনি আগেই করে গেছিলেন। প্রথমে শোনা যায়, এই সম্পত্তি নাকি পেতে চলেছেন তার বোনেদের কেউ। তবে পরে জানা যায় সম্পত্তি তিনি যার তার হাতে দেননি। বরং বাবার নামে যে ট্রাস্ট চালাতেন, সেই ট্রাস্টের হাতেই নাকি চলে যাবে সমস্ত সম্পত্তি।

 

আজ তিনি হয়ত সশরীরে আমাদের সাথে নেই। কিন্তু তাঁর গান এখন সবার প্রাণে। জেনে অবাক হবেন যে, বিশ্বের ৩৬টি ভাষায় ৫০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন গায়িকা। অথচ মজার বিষয় হল, তাঁর বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর বহুদিন জানতেনই না যে তার মেয়ে গাইতে পারে। মা যখন রান্না করতেন তখনই নাকি সুর ভাঁজতেন লতাজি। কিন্তু তা শুনলেই মা বকা দিতেন। হয়ত তিনি সেদিনটা ভাবতেও পারেননি যে, তার মেয়ে কী করতে পারে। বাবা মারা যাওয়ার পর তো একাই গোটা সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন লতা। মাত্র ১৩ বছর বয়সে শুরু করেন অভিনয়। বেশকিছু ছবিতে তো নায়ক নায়িকার বোনের ভূমিকাতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে যার কণ্ঠ সুরের মূর্ছনা ছড়াতে উদগ্রীব, তার ঐ সংলাপ বলতে ভালো লাগবে কেন? প্রথম প্লেব্যাক করেন লাভ ইজ ব্লাইন্ড-এর, কিন্তু এই ছবিটি মুক্তি পায়নি।

 

তবে ছয়-সাতের দশকে সকলের পক্ষে লতাজির পারিশ্রমিক দেওয়া সম্ভব ছিলনা। শেষমেষ বিকল্প হিসেবে নির্মাতারা ছোটেন সুমন কল্যাণপুরের কাছে। সুমনকে বলা হত দ্বিতীয় লতা মঙ্গেশকর। যদিও সুমন কল্যানকর নিজে এই তুলনাটা একেবারেই পছন্দ করতেন না। তবে লতাজি তো লতাজিই। মধুবালা থেকে শুরু করে করিনা, লতার কণ্ঠের জাদুতে পেরিয়েছে কয়েকটা যুগ।

 

আচ্ছা এটা কখনও ভেবে দেখেছেন, লতাজি বিয়ে করেননি কেন? তাছাড়া বিয়ে না করেও তিনি সিঁদুর কেন পরতেন?

শোনা যায়, ডুঙ্গারপুর রাজপরিবারের মহারাজা রাজ সিং-এর সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল লতার। মন দেওয়া নেওয়াও হয়েছিল। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রাজ সিং-র বাবা মা। ভেঙে যায় প্রেম। ব্যাস, তারপর থেকে আজীবন কুমারীই রয়ে গেলেন আমাদের লতাজি। তবে সিঁথিতে কিন্তু সিঁদুর পরতেন। অবশ্য কারণ হিসেবে লতাজি জানিয়েছিলেন, এই সিঁদুর তিনি পরেন সঙ্গীতের নামে।

 

সঙ্গীতের প্রতি তার শ্রদ্ধা কতটা ছিল সেটা এই উদাহরণ থেকেই বুঝতে পারবেন। শোন যায়, এক বিয়ে বাড়িতে গাওয়ার জন্য ৫১ কোটি টাকার অফার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তবে তা এক কথায় নাকচ করে দেন লতা। এই প্রসঙ্গে আশাও একবার বলেছিলেন, এক মিলয়ন ডলার কেন, পাঁচ মিলিয়ন ডলার দিলেও তিনি গান গাইবেন না। আর সেই কারণেই বোধহয় লতাজি আজও এক এবং অদ্বিতীয়। আজ আমাদের এই প্রতিবেদন কেবল লতাজির জন্যই। আমাদের এই উপস্থাপনা আপনাদের কেমন লাগলো? জানাবেন কমেন্ট করে। আপনার পছন্দের কোনও তারকার জীবনের এমন অজানা কাহিনী জানতে চান? তাহলে কমেন্ট বক্সে সেটাও লিখে ফেলুন।

https://fb.watch/s-y_bTc53a/

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version