Cyclone Mocha: কক্সবাজারে মোকার ল্যান্ডফল! তছনছ এই দ্বীপ, গেল প্রাণ। রিস্কে রোহিঙ্গা শিশু

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cyclone Mocha: মারাত্মক গতিতে ল্যান্ডফল মোকার। বাংলাদেশের কক্সবাজারে ভয়ানক পরিস্থিতি। সেন্ট মার্টিনে মোকার তাণ্ডব, আসতে শুরু করেছে মৃত্যুর খবর।
বাংলাদেশে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শিশু রিস্কে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে থিক থিকে ভিড়। গরু ছাগল নিয়ে শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। প্রতিটা মুহূর্ত উদ্বেগ উৎকণ্ঠার। তাণ্ডবের পর কখন থেকে দুর্বল মোকা? বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতে ছিল।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, মোকা থাকলে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ভয়ংকর তাণ্ডব চালাবে। সেটাই ঘটে গেল দুপুর ১টার পর থেকে সেন্টমার্টিনে তাণ্ডব শুরু করে মোকা। তারপর শুধুই ধ্বংসলীলা। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকার তাণ্ডবে ইতিমধ্যেই সেন্টমার্টিনের অনেক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত। গাছ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেন্টমার্টিনকে রীতিমতো লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে মোকা। ১০০ কিলোমিটার ঝোড়ো হাওয়ায় একের পর এক ঘরের চাল উড়ে গেছে। প্রতি মুহূর্তে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। দ্বীপের বিল্ডিং রীতিমতো কেঁপে উঠেছে। স্বাভাবিকের চেয়ে জলের উচ্চতাও ছিল কয়েক ফুট বেশি। অন্যদিকে, কক্সবাজার এর শেল্টারগুলোতে অনেকে গৃহপালিত পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। পর্যাপ্ত খাবার না থাকার অভিযোগ করছেন অনেকে।

আর রোহিঙ্গারা? কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রায় পাঁচ লাখ শিশুর বাস। বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশে মোট ১৫ লাখের বেশি শিশু রিস্কে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কক্সবাজারে সীমান্ত এলাকায় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা। কারণ, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কয়েক লাখ শিশুর বাস। আর, এখানেই ভয়। সময় যত যাবে, চিত্রটা ততই পরিষ্কার হবে। তবে, কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর শুনিয়েছিল বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর। কারণ ঘূর্ণিঝড় মোকা মূল আঘাত হেনেছে মিয়ানমারের ওপর। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে।

এদিন, বিকাল ৪ টের পর থেকে দুর্বল হতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় মোকা। সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা কমার পূর্বাভাস ছিলই আবহাওয়া অধিদপ্তরের। তবে শুধু বাংলাদেশ মিয়ানমার নয়, মোকার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ছিল এপার বাংলাতেও। মোকার পূর্বাভাসে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছিল সুন্দরবন এর মানুষ। সেইমতো আগেভাগেই সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। জরুরিকালীন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল স্থানীয় প্রশাসন এমনকি এদিন, ট্রলার নিয়ে ফিরে এসেছেন মৎস্যজীবীরা। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সতর্কতা জারি পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘাতেও। সকাল থেকে দিঘার সমুদ্র উত্তাল আজ এবং আগামীকাল সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version