লাদেন পর্দাফাঁস করল আমেরিকার! কেন ৯/১১ হামলা ? বেরিয়ে গেল সত্যিটা

।। প্রথম কলকাতা ।।

ওসাবা বিন লাদেন পর্দাফাঁস করল আমেরিকার! ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝে চিঠি পাঠালেন লাদেন। এমন কী লেখা রয়েছে সেই চিঠিতে? যা নিয়ে এত হইচই! জো বাইডেনের এবার নিন্দা করছেন আমেরিকানরাই। পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লাদেনের গোপন আস্তানায় ঢুকে তাকে হত্যা করেছিল। না মার্কিনবাহিনী তাহলে এখন কীভাবে আমেরিকাকে চিঠি দিতে পারছে লাদেন? প্যালেস্টাইনের সঙ্গে কত বড় অন্যায় করেছিল আমেরিকা! ইজরায়েল যাতে সুবিধা পায় তার জন্য এত বড় স্টেপ গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেল তাহলে এবার? বিশ্লেষকেরা বলছেন জঙ্গি নেতার মৃত্যু হয়নি বা মৃত্যুর পরও তিনি ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ ফের কবর খুঁড়ে তুলে আনল বিশ্বের সবথেকে কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী নেতা
ওসামা বিন লাদেনকে।

আমেরিকা সম্প্রতি বারবার গাজা অধিকার, গাজার নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছে। দরকারে ইজরায়েল বা নেতানইয়াহুকে হুমকিও দিয়েছেন বাইডেন। নেপথ্যে চেষ্টা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক রূপ ফুটিয়ে তোলা কিন্তু সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিল লাদেনের একটা চিঠি। মার্কিন জনগণের উদ্দেশে ওসামার লেখা একটি চিঠি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আজ থেকে একুশ বছর আগে চিঠিটি লিখেছিলেন লাদেন। সেখানেই আমেরিকার ৯/১১ হামলার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। চিঠিটি প্রকাশ করেছিল গার্ডিয়ান পত্রিকা। চিঠিতে যা লেখা ছিল জানুন। হামলার কারণ হিসেবে লাদেন জানিয়েছিলেন প্যালেস্তাইন দখলকারী ইসরায়েলিদের প্রতি আমেরিকার ব্যাপক সমর্থন। চিঠিতে লাদেন লিখেছিলেন ওরা আমাদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক সৈন্য নামিয়েছে। আমাদের উপর অত্যাচার করেছে। আমাদের জমি কেড়ে নেওয়ার জন্য ইজরায়েলিদের সঙ্গে একটি জোট গঠন করেছে। এটাই ১১ তারিখ আমাদের প্রতিক্রিয়ার মূল কারণ। কয়েক দশক ধরে ইজরায়েলের দখলে রয়েছে প্যালেস্তাইন। ১১ সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত আপনাদের কোনও প্রেসিডেন্ট এই বিষয়ে কেউই এ বিষয়ে কথা বলেননি।

লাদেন আরও লিখেছিলেন প্যালেস্তাইনকে আর বন্দি রাখা যাবে না। আমরা এই শিকল ভাঙবই। খ্রিস্টানদের রক্ত দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার ঔদ্ধত্যের মূল্য চোকাতে হবে। ২২ বছর আগে আমেরিকায় চারটি যাত্রীবাহী জেট বিমান ছিনতাই করে। সেগুলো দিয়ে আঘাত হানা হয় নিউইয়র্কের দুটি আকাশচুম্বী ভবনে। যে ঘটনায় নিহত হয় কয়েক হাজার মানুষ। গোটা বিশ্ব ৯/১১ র সেই ভয়াবহতা আজও ভুলতে পারেনি। এই চিঠি পড়ার পর আমেরিকার তরুণ প্রজন্ম ক্ষোভে ফুটছে। তাদের অনেকেরই দাবি এই চিঠি পড়ার পর তারা ‘অস্তিত্ব সংকট’ বোধ করছে। কেউ কেউ এমনও বলেছে, যে এই চিঠি তাদের চোখ খুলে দিয়েছে। একজন বলেছেন আমাদের সারা জীবন মিথ্যা বলা হয়েছে। আমার মনে আছে, ওসামাকে খুঁজে বের করে হত্যা করার পর মানুষ উল্লাস করেছিল কিন্তু, এখন মনে হচ্ছে সবটাই মিথ্যা ছিল একইভাবে, মিথ্যা বলে ইরাকে হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। ওসামার কাজ সন্ত্রাসবাদ হলে এই হামলাগুলিকে কী বলা হবে? এমনটাই প্রশ্ন করছে তারা। মোট কথা এই চিঠিতে প্রমাণ হয়ে যায় ইজরায়েলকে কতটা অন্ধ সমর্থন করেছিল আমেরিকা। যদিও এই চিঠি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর তা সরিয়ে দেয় গার্ডিয়ান পত্রিকা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version