LAC এবার ভারতের মুঠোয়! তাওয়াংয়ে চীনের রেলপথ ঘেষে দিল্লির মাস্টারস্ট্রোক, জানুন কী তৈরি হচ্ছে

।। প্রথম কলকাতা ।।

LAC ভারতের হাতের মুঠোয় অরুনাচলে মাস্টারস্ট্রোক। তাওয়াংয়ে বেজিংয়ের অতিচালাকির বদলা রেডি চীনের রেলপথ ঘেষেই ভারত তৈরি করছে বড় কিছু। ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রজেক্টে লালফৌজ চাপে। স্যাটালাইট ইমেজে ধরা পড়ে গেছিল অরুনাচলের তাওয়াংয়ে কী খেলাটাই না দেখাচ্ছে জিনপিংয়ের সেনা, কিন্তু ভারতও কম যায় কিসে? দূরবীন দিয়ে চীন খোঁজায় ব্যস্ত এমন কি তৈরি করছে ভারত যার ফলে অরুনাচলে সূঁচও ফোটালে ইন্ডিয়ান আর্মি হাজির হয়ে যাবে দুর্গম এলাকায় সবক শেখাতে। LAC এবার তাহলে পুরোপুরি হবে হাতের মুঠোয়? মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরেই মাস্টারস্ট্রোক দিচ্ছে ভারত।

ভালো করে বুঝে নিন ভারতের ব্লুপ্রিন্ট কী? অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াং জেলা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে নিয়াংচি পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করেছে চীন। ইতিমধ্যেই ট্রেন চলাচলও শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে। নিয়াংচিতেই নতুনো বেস তৈরি করেছে পিএলএ আর্মি। নিয়াংচি থেকে লাসা পর্যন্ত রাস্তাও রয়েছে। আর এর মাধ্যমেই তাওয়াংয়ে ভারী ভারী অস্ত্র মজুত করার সুযোগ পাচ্ছে বেজিং। তাওয়াং সেক্টরে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি মোতায়েন করেছে তারা। মিলিটারির পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে। বারবার তাওয়াংয়ে উস্কানির সুযোগও তারা পাচ্ছে অতি সহজেই কিন্তু ভারত সেই তাওয়াং ঘেষেই তৈরি করছে বড়সড় রাস্তা। যাতে চোখ থাকে একেবারে তাওয়াংয়ের দিকেই। কেন্দ্রের তরফে জানা গিয়েছে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং থেকে শুরু হবে ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে ১৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা চীন-অরুণাচল সীমান্তে আপার সুবনসিরি, আপার সিয়াং, দিবাং ভ্যালি, কিবিথু হয়ে মায়ানমার সীমান্তের বিজয়নগরে এসে শেষ হবে। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন ও কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক যৌথভাবে এই রাস্তা তৈরি করছে।

১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীনা সেনাবাহিনী অরুনাচল প্রদেশের অনেক এলাকায় পৌঁছে গেছিল সহজে, কিন্তু সে সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে তেমন সড়ক-সুবিধা ছিল না যার কারণে সেনাবাহিনীর চলাচল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই মহাসড়ক তৈরি হলে সেটা হবে প্রথম সবথেকে বড় সুবিধা, তবে এটাও বলা হচ্ছে এটি দেশের মধ্যে অন্যতম বড় ও কঠিন রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প তাই ভারতের কাছে এটা বড়সড় চ্যালেঞ্জ। আগামী ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। এই রাস্তা একবার তৈরি হয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে অরুণাচলের যে কোনও জায়গা থেকে চীন সীমান্তে পৌঁছে যেতে পারবে ভারতীয় সেনা বাহিনী। কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ভারতের মাটির মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরেই তৈরি হচ্ছে এই রাস্তা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version