কিমের কন্ট্রোলে যুক্তরাষ্ট্র ? একাট্টা ৩ শত্রুদেশ, বড় ট্র্যাপ, হাহুতাশ জেলেনেস্কির

।। প্রথম কলকাতা ।।

যুক্তরাষ্ট্রকে কন্ট্রোলের রিমোট কিমের হাতে? কেন কিমের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র? ভ্লাদিভোস্টকে বসে ঘুঁটি সাজালেন কিম, ফ্যাসাদে পড়ে গেলেন বাইডেন। পুতিন-কিমের‌ নতুন সমীকরণে রিস্ক বাড়ছে আমেরিকার। কিমকে হাতে রাখলে সোনায় সোহাগা, সুযোগ খুঁজছেন বাইডেন। চীন নাকি উঃ কোরিয়া? কাকে ঠেকাবেন কোন অস্ত্রে? ভয়ঙ্কর ট্র্যাপে ফেঁসে যুক্তরাষ্ট্র, দিশেহারা ইউক্রেন উঃ কোরিয়া – যুক্তরাষ্ট্র, দুদেশের শত্রুতা চরমে। দশকের পর দশক পার হয়েছে কিন্তু, এই সংকট সমাধানের উপায় পায়নি ওয়াশিংটন।

আর ২০২৩ এ দাঁড়িয়ে, সেটাই যুক্তরাষ্ট্রের উপর ভারী পড়লো। কিন্তু কী এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো রাতারাতি যাতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের সঙ্গে যেনতেন প্রকারে এক টেবিলে বসার ইন্টারেস্ট দেখাতে শুরু করে দিলো যুক্তরাষ্ট্র? তাহলে কী বুদ্ধিভ্রম হলো? না, আসলে ভ্লাদিভোস্টকে পুতিনের সঙ্গে বসে যে গেমপ্ল্যান করেছেন কিম জং উন, তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জো বাইডেন। আগে সমীকরণটা বুঝুন। কিম জং উনের সঙ্গে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধুত্বের নতুন ইনিংস শুরু হয়েছে। পশ্চিমাদের ধারণা, মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে যুদ্ধাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের মতো সেনসিটিভ প্রযুক্তি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শেয়ার করছে রাশিয়া। যা নতুন টেনশন হয়ে দাঁড়িয়েছে ওয়াশিংটন এর কাছে। যুদ্ধে রাশিয়া জিতবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন কিম। পুতিনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। কোন কিম?

যে কিনা রাশিয়া এবং চীন, দুই দেশেরই ঘনিষ্ঠ। একেই চীনকে ঠেকাতে ঘাম ছুটে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যদিকে, ইউক্রেনের পাশে থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াও কঠিন হচ্ছে। এরই মাঝে উত্তর কোরিয়া যদি চীন-রাশিয়ার হাত শক্ত করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বনাশ আর রোখে কে? তাছাড়া, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রভাণ্ডার যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনার টেবিলে আনতে যে যথেষ্ট সেটা নিয়েও শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।

আর ঠিক এই কারণেই উত্তর কোরিয়াকে ম্যানেজ করতে উঠেপড়ে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু চীনের অন্যতম বন্ধু কিম জং উনকে বাগে আনবেন কিভাবে? সোজন্যতার সম্পর্কটুকুও আছে কী? গত বছরের মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল কিমের জন্য কী মেসেজ দিতে চান। উত্তরে জো বাইডেন কিম জং উনকে শুধু ‘হ্যালো’ বলেছিলেন। আবার, সম্প্রতি রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টকে পুতিন আর কিমের বৈঠক নিয়ে এখনও পর্যন্ত উপহাসই করতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রকে।

মোদ্দা কথা কিমের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো কোন কাজই করে রাখেনি যুক্তরাষ্ট্র অথচ, এখন ওয়াশিংটন এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে যে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন একটা দেশের সঙ্গে সব শত্রুতা ভুলে এক টেবিলে বসতে দ্বিধা বোধ করছেনা। আর, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো তেমন কোনো উপায়ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাহলে সেক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কীভাবে তাহলে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমকে আলোচনার টেবিল বসাবেন? প্রশ্ন উঠছে। বিগত সাত দশক ধরে দুই দেশের পক্ষ থেকে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ আর সুযোগ হাতছাড়া করার কারণে একটা জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা কাটানো এত সহজ হবে না বাইডেনের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version