কারি কারি মণি-মুক্তো ঢুকছে যুক্তরাষ্ট্রে ? গুঁড়িয়ে গেল চীনা ব্যারিকেড, চাঁদ পেল জাপান

।। প্রথম কলকাতা ।।

এতো এতো সামুদ্রিক সম্পদ ঢুকবে? ডিরেক্ট লাইন জাপান টু যুক্তরাষ্ট্র। জানেন আমেরিকান ফোর্সের জন্য সমুদ্রের তলা থেকে কি আনাচ্ছেন বাইডেন? মণিমুক্তোর মতো দামী সবটা দেখে শুনে হাত কামড়াচ্ছে চীন। বেইজিং এর ব্যারিকেড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে বাইডেনের দেশ। হাতে চাঁদ পেল জাপান, দেখুন কিভাবে বন্ধুত্বের দাম চোকালো যুক্তরাষ্ট্র। জাপানের পায়ে বেড়ি পরিয়ে ছিল চীন। পথ দেখালেন জো বাইডেন। সমুদ্রের হাত ধরে জাপানকে সুদিন দেখালো যুক্তরাষ্ট্র। মানলো না বাধা বিপত্তি। অসময়ে দেখালো বন্ধুত্ব কাকে বলে। ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় জল সমুদ্রে ছাড়ার জন্য বড় মাসুল গুনতে হয়েছে জাপানকে। মাস তিনেক আগে জাপানের সিফুড ও কৃষিপণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চীন। বড় বিপদে পড়ে যায় টোকিও।

জাপান বলেছিল ওই তেজস্ক্রিয় জলকে তারা যথেষ্ট নিরাপদ মনে করে তারপরেই সমুদ্রে ছাড়ছে। কিন্তু সেটা মানেনি চীন। আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সিও ওই জল মহাসাগরে ছাড়ার অনুমোদন দেয়। কিন্তু চীন বলছে, জাপান নিজেদের স্বার্থ দেখছে। জোর করে সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় জল ছেড়ে দিয়ে মানুষের ক্ষতি করছে। বন্ধু দেশের দুর্দিনে বড় ডিসিশন নিলো আমেরিকা। চীনা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রথমবার জাপানের সিফুড কেনা শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের সামরিক বাহিনীর ডায়েট লিস্টে থাকবে এইসব সিফুড। বুঝিয়ে বলি, হিসেবটা দেখুন। ২০২২ এ জাপান প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের সিফুড চীনে রপ্তানি করে। জাপানের সিফুডের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল চীন। চীনের পরই এই তালিকায় রয়েছে হংকং। জাপানের মোট সামুদ্রিক খাবার রপ্তানির ৪২ শতাংশই যেত চীন ও হংকংয়ে। সেখানে, চীন আচমকাই তেজস্ক্রিয় দূষণের রিস্কের কথা ভেবে যেভাবে জাপানের সিফুড আমাদানির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছিল তাতে টোকিওর সমস্যা যে বাড়বে সেটা বেশ স্পষ্ট। কিন্তু তক্কে তক্কে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাই ঝোপ বুঝে কোপ মারতে সময় নেয়নি। এখন এতো এতো সিফুড জাপান থেকে সোজা ঢুকছে যুক্তরাষ্ট্রে।

জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ইমানুয়েল তো বলে দিয়েছেন ওয়াশিংটনের উচিত কীভাবে চীনের এই নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে জাপান তার আরো অন্য পথ খোঁজা। পুরো বিষয়টা কিন্তু এতো সহজ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্স আর জাপানের মৎস্য ও সহযোগীদের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী ডিল হতে চলেছে। এটা তো ঠিক চীনকে সবক শেখাতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া দেশ বা শিল্পের দিকে সাহায্য হাত বাড়িয়ে দেওয়া। ঠিক সেই পথেই হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দফায় জাপান থেকে মাত্র এক মেট্রিকটন স্ক্যালপ কিনেছে। জানিয়ে রাখি, জাপান গত বছরও চীনের মূলভূখণ্ডে এক লাখ টনের বেশি স্ক্যালপ রপ্তানি করেছিল।তার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের কেনা স্ক্যালপের পরিমাণ খুবই সামান্য কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি যে সেই পরিমাণটা বাড়বে সেটাও জানিয়েছে আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর জাপান থেকে সব ধরনের সামুদ্রিক খাবার কেনা শুরু করবে। তখনই পরিমাণ বাড়বে।

জাপান থেকে কেনা সেইসব সিফুড সেনাবাহিনীর মেসে, বিদেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে এবং সামরিক ঘাঁটিগুলোর দোকান ও রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাবে এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এর আগে কখনো জাপানের স্থানীয় বাজারের সিফুড কেনেনি। তাই তাদের জন্য অবশ্যই এটা একটা নতুন এক্সপেরিয়েন্স হতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে জাপান যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সিফুডের হাত ধরে আরও বেশি দৃঢ় পোক্ত ও গভীর হচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version