।। প্রথম কলকাতা ।।
জাস্টিন ট্রুডো হাত তুলে নিলেন পুরোপুরি। দিল্লির একটা হুঁশিয়ারিতে এত কেন ভয় কানাডার? ওটাওয়াকে সবক শেখাতে ভারতের হাতিয়ার কি হতে চলেছে ডাল? বিদ্রোহী ট্রুডোর এতটা পাল্টি খাওয়ার কারণ কী? একই রূপে কত অবতার জাস্টিন ট্রুডোর। নিজ্জর ইস্যুতে কানাডার সেই তেজ আর দেখা যাচ্ছে না। আমেরিকা তো পুরোপুরি হাত তোলেনি তা সত্ত্বেও জাস্টিন ট্রুডোর গলার সুর নরম কেন? এবার উভয়সংকটে পরে গিয়েছেন ট্রুডো কানাডার রাজনৈতিক মহল সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। কূটনৈতিক মহল বলছেন ট্রুডো এখন শাঁখের করাতে পরে গিয়েছেন সামনেও বিপদ পিছনেও একই অবস্থা। দিল্লি স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কানাডার ৪০ জন কূটনৈতিককে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। তারপরই যেন একেবারে হাত তুলে নিলেন ট্রুডো। পরিস্কার বলে দিলেন এই দ্বন্দ্ব আর এগিয়ে নিতে যেতে চান না তিনি।
জাস্টিন ট্রুডো যে মাঝপথে এমন পাল্টি খাবেন আগেই বুঝেছিলেন। কানাডার খালিস্তানিপন্থী নেতা ও সাংসদেরা তাই এবার সেখান থেকেও হুমকি আসছে ভারত-কানাডা সম্পর্ক নিবিড় করার বার্তা দিয়ে ট্রুডো রাজধানী অটোয়ায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, এই বিষয়টি আর আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই না ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটতে চায় না কানাডা। প্রথম প্রশ্ন কানাডা কি তাহলে নিজ্জর খুনে তদন্ত করে। ভারতের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পেল না। সেজন্যই কি এমন পাল্টি খেলেন ট্রুডো? নাকি ভারত বাণিজ্যে এমন কোনও দুঃসাহসীক স্টেপ নেবে যা কানাডার পক্ষে হতে পারে বড় ধাক্কা। এক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মহলের মতে ভারত চাইলেই ট্রুডোর মন্তব্যের ক্ষোভ উগরে দিতে পারে কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের উপর তার ফল ভোগ করতে হতে হবে কানাডার কৃষকদের। কারণ কানাডা থেকে একটা বড় পরিমাণ ডাল আমদানি করে ভারত। প্রতি বছর ভারতে ২৩ লক্ষ টন ডাল প্রয়োজন হয় তার মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টন ডাল ভারতেই উৎপন্ন হয় বাকি ডাল দিল্লি আমদানি করে, তবে এটা ভাববেন না ডাল আমদানিতে শুধু কানাডার ওপরই নির্ভরশীল দেশ।
আর এই চিন্তাটাই কোথাও না কোথাও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ওটাওয়ার জন্য। গত অর্থবর্ষে ৪.৮৫ লক্ষ টন ডাল কানাডা থেকে আমদানি করেছিল ভারত যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ডলার। হয়ত ভারত পুরো বাণিজ্য বন্ধ করবে না কিন্তু পরোক্ষ প্রভাব ফেলতেই পারে অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়া ডালের ক্ষেত্রে এই দুই প্রকল্প রয়েছে দেশের হাতে। ট্রুডো এবার ঘুরে যাওয়ায় রীতিমত হুমকি দিচ্ছে কানাডার শিখ সাংসদ। নিজ্জর খুনে দিল্লির বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ প্রকাশ্যে আনার দাবি জানালেন কানাডার সাংসদ জগমিত সিং নিজ্জর খুনে ভারতীয় গুপ্তচরদের জড়িত থাকার যাবতীয় তথ্য প্রমাণ নাকি তাঁর হাতে রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ওই শিখ সাংসদ। ট্রুডো সরকারের দাবি প্রমাণ থাকলে তা তাদের হাতে তুলে দিক জগমিত সিং এর মানে একইসঙ্গে ঘরে ও বাইরে দুদিকেই চরম চাপে ট্রুডো৷ অনেকেই বলছেন ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খোলার আগে একটু সতর্ক হওয়া বোধহয় উচিত ছিল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম