India-Bangladesh: ভারত-বাংলাদেশের ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের যৌথ ভার্চুয়াল উদ্বোধন, মজবুত হবে দুই দেশের সম্পর্ক

।। প্রথম কলকাতা ।।

India-Bangladesh: ভারত-বাংলাদেশের(India-Bangladesh) মধ্যে মৈত্রী পাইপ লাইনের যৌথ ভার্চুয়াল উদ্বোধন করতে চলেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina) ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী পাইপ লাইন উদ্বোধন করবেন। এই ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্প দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সমস্ত রকম প্রস্তুতি শেষ। এখন চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে শিলিগুড়ি নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে জ্বালানি যাবে বিপিসির পার্বতীপুর ডিপোতে।

ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করা যাবে প্রায় ১০ লক্ষ টনের বেশি ডিজেল। যা দিয়ে জ্বালানির চাহিদা মিটবে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের ৮ জেলা সহ উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৬ জেলার। পাশাপাশি বাংলাদেশের ডিজেল আমদানির খরচ কমবে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ। ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনটি প্রায় ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় হয়ে বাংলাদেশের প্রথম আন্তদেশীয় পাইপলাইন হতে চলেছে । দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অধীনে পাইপলাইনটি শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ডিপোতে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পে বাংলাদেশের পেট্রোল পাম্প মালিকরা বেশ খুশি। তারা মনে করছেন, পাইপলাইনে যদি তেল সরবরাহ হয় সেক্ষেত্রে খরচ অনেকটা কমবে এবং বেশি পরিমাণে জ্বালানি আনা যাবে। আপাতত বিপিসি বছরে অন্তত দুই থেকে তিন লক্ষ টন ডিজেল আমদানি করার পরিকল্পনা করেছে।

এই পাইপলাইন নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যার ৫ কিলোমিটার থাকবে ভারতের এবং ১২৬ কিলোমিটার থাকবে বাংলাদেশে। ভারতের দীপন গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের কাজ করেছে। ডিপো তৈরির কাজ করেছে পাইপ লাইনার্স লিমিটেড। এই প্রকল্পতে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে প্রায় ৩০৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি সরবরাহ সাশ্রয়ী, দ্রুতগতি এবং নিরবিচ্ছিন্ন করতে ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এর আগে জ্বালানি তেল বাংলাদেশ আমদানি করে চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে খুলনা, তারপর সেখান থেকে রেলের মাধ্যমে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সরবরাহ করা হত। এক্ষেত্রে দেখা দিত নানান জটিলতা, পাশাপাশি প্রচুর অপচয়ের সম্ভাবনা ছিল। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যৌথ পাইপলাইন চালু হলে প্রাথমিক অবস্থায় বছরে প্রায় ২ লক্ষ টন তেল পাবে বাংলাদেশ। পরবর্তী কালে পরিমাণ ১০ লক্ষ টনে পৌঁছাবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version