Jagannatha Temple: জগন্নাথ মন্দিরের নতুন নিয়ম! ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন আর নয়, কীভাবে দর্শন করবেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Jagannatha Temple: আর ঘণ্টার পর ঘন্টা লাইন নয়। এই উপায়ে আপনি সোজা চলে যাবেন জগন্নাথদেবের সামনে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সব নিয়ম বদলে গেল। সরকার বদলের পর জগন্নাথ ধামে আসলো একাধিক কড়াকড়ি। পুজো দিতে গেলে আপনাকেও মানতে হবে এই বিশেষ নিয়ম। আর পাণ্ডাদের ঝামেলা নয়। নতুন পদ্ধতিতে পুজোর ব্যবস্থা। কীভাবে জগন্নাথ দেবের দর্শন পাবেন?

 

যেমন কথা, তেমন কাজ! পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে দেবদর্শন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ওড়িশার নয়া সরকারের। তাতে আপনার কতটা সুবিধা হল? পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কেবল একটি
প্রবেশদ্বার ভক্তদের জন্য খোলা ছিল। এতদিন পর্যন্ত জগন্নাথ মন্দিরের সিংহ দুয়ার দিয়ে ভক্তরা মূল মন্দিরে প্রবেশের সুযোগ পেতেন।

 

বৃহস্পতিবার সমস্ত নিয়মনীতি মেনে খুলে গেল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি গেট। যাতে মন্দিরের ভিড় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সুবিধা হবে। ভক্তরা কম সময়ে খুব সহজেই
দর্শন করতে পারবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার। তাও আগের থেকে অনেক কম লাইন দিয়ে। জগন্নাথ ধামে প্রবেশ করতে পারবেন আপনিও। জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দ্বার হল উত্তর দ্বার,দক্ষিণ দ্বার পূর্ব দ্বার ও পশ্চিম দ্বার। উত্তর দিকের দরজাটি হস্তীদ্বার। দক্ষিণ দিকের দরজা অশ্বদ্বার।  পূর্ব দিকের দরজা সিংহদ্বার এবং পশ্চিম দিকের দরজা ব্যাঘ্র দ্বার। এছাড়াও মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

আগে মন্দিরের চারটি দরজাই পুণ্যার্থীদের জন্য় খোলা থাকত। করোনা কালে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তৎকালীন সরকার। তিনটি দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোভিড পরবর্তী সময় আর সেই তিন দরজা খোলেনি।

 

এই সেই মন্দির একবার নারদ মুনি শ্রীজগন্নাথ দেব প্রভুকে দর্শন করতে পুরীর মন্দিরে আসেন। সেই সময় মন্দিরের দরজায় অপেক্ষা করছিলেন বজরংবলী। নারদ মুনি যখন মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করেন, তখন তিনি দেখতে পান যে জগন্নাথদেব অত্যন্ত বিচলিত হয়ে রয়েছেন। কী কারণে তিনি বিচলিত, মহর্ষি নারদ তা জানতে চাইলে জগন্নাথদেব তাঁকে বলেন যে সমুদ্রের প্রবল গর্জনের কারণে তাঁর মন অশান্ত হয়েছে। এই প্রচণ্ড আওয়াজের কারণ তিনি একাগ্রচিত্তে কোনও কিছুতেই মনোনিবেশ করতে পারছেন না।

 

এই কথা মন্দিরের বাইরে পাহারারত বজরংবলীকে জানান মহর্ষি নারদ। বজরংবলী হলেন রামের পরম ভক্ত। আর রাম এবং কৃষ্ণ উভয়েই বিষ্ণুর অবতার। আবার জগন্নাথ দেব হলেন কৃষ্ণের আর এক রূপ। সেই হিসেবে বজরংবলী জগন্নাথদেবেরও পরম ভক্ত। প্রভুর সমস্যার কথা জেনে তখনই তার সমাধানের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন হনুমান। তখনই সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে সমুদ্রদেবকে আহ্বান জানান বজরংবলী। তাঁকে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জনকে শান্ত করতে বলেন। তাই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে শোনা যায় না সমুদ্রের গর্জন।

 

https://fb.watch/sHE2xNmUSs/

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

Exit mobile version