ইজরায়েলের দূর্গাবাহিনী গাজার মাটিতে! IDF-র মহিলা সেনার অপারেশন কেমন ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

হামাসকে ধ্বংস করতে ইজরায়েলের দুর্ধর্ষ দুর্গাবাহিনী ময়দানে। ইজরায়েলের মহিলা সেনাদের কেন থাকতে হয় পুরুষদের তাঁবুতে? মহিলারা ১৮ বছরে পা দিলেই সেনার অদ্ভুত নিয়ম শুর। মহিলাদের সেনাদের অপ্রতিরোধ্য স্ট্রাগল। এসব তথ্য ফাঁস হওয়াও অপরাধ ইজরায়েলে। হামাসকে গোড়া থেকে ধ্বংস করতে IDF সদাসর্বদা তৎপর, কিন্তু IDF এর মহিলাবাহিনীকে কীভাবে ধরে ধরে হামাস নেতাদের শেষ করছে জানেন? কেন বিশ্বের সব মহিলা জওয়ানদের মধ্যে সবথেকে খতরনাক হন ইজরায়েলের মহিলা সেনারা? তার মধ্যেই গাজারা ময়দানে ইজরায়েলের দুর্গাবাহিনীর ঝলক।

অনেকেই জানেন ইজরায়েলের আইন অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিককে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে হয় কিন্তু সৈনিকদের প্রকাশ্যে মেলামেশা করা বারণ। সামাজিক কোনও অনুষ্ঠানে যেতে হলে তাঁদের বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। সেনা জওয়ান বা অফিসাররা যাতে রাজনীতিতে জড়িয়ে না পড়েন তার জন্যেই এই আইন রয়েছে IDF-এ। কিন্তু ইজরায়েলের দুর্গাবাহিনীতে প্যালেস্টানীয় মহিলা কি করছেন? মাত্র ১৮ বছর বয়সেই অধিকাংশ ইজরায়েলিদের সৈনিক জীবন শুরু হয়ে যায় যার মধ্যে রয়েছেন মহিলারাও। আর এই জীবন চলে পরবর্তী ৩২ মাস ধরে। আর এই ট্রেনিংই রাফ অ্যান্ড টাফ তৈরি করে দেয় মহিলাদের।

মোরিয়া মেন্সর: মোরিয়া ইজরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের একজন প্রাক্তন যোদ্ধা। এতদিন অবধি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে থাকছিলেন। তবে হামাসের হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর এক বন্ধুর। নিখোঁজ তাঁর আরও অনেক আত্মীয়-পরিজন সেই খবর পাওয়ার পরেই অপেক্ষা না করে ইজরায়েলে উড়ে এসেছেন মোরিয়া। জানা গেছে হামাসকে নিচিহ্ন করতে এবার তিনি মাঠে।

এলা ওয়ায়েয়া: সোশ্যাল মিডিয়ায় সমগ্র বিশ্বজুড়ে ক্যাপ্টেন এলা নামে পরিচিত। এই তরুণী এলা আরব-বিশ্বের প্রথম মুসলমান মহিলা। যিনি আইডিএফ-এর একজন মেজর হিসেবে কর্মরত। আইডিএফের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে নিয়মিত গাজার সঙ্গে যুদ্ধের খবরা খবর পোস্ট করছেন এলা। সেই সঙ্গে ইজরায়েলের জনগণের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘একতাই মূলধন।

২০০০ সাল থেকেই পুরুষ ও মহিলা সৈনিকদের এক ধরনের প্রশিক্ষণ দেয় IDF। এখানে কোনও ভেদাভেদ করা হয়না নারী-পুরুষে‌ষ। একই ধরনের তাঁবুতে থাকেন তাঁরা। মহিলাদের তাঁবুর সামনে থাকে কাঁটাতারের বেড়া। পুরুষ ও মহিলা এক একটি ব্যাচকে ২০ জনের তাঁবুতে রাখা হয়। পুরুষরা সেখানে ঢোকার আগে হাঁক দিয়ে নিজের উপস্থিতির কথা জানিয়ে দেন।

প্লেস্টিয়া আলাকাদ:  ইজরায়েল নয় প্লেস্টিয়া আদতে প্যালেস্টাইনের একজন সাংবাদিক। গাজায় ইজরায়েলের প্রতি আক্রমণের পর থেকেই নিজের মোবাইলে ধ্বংসযজ্ঞের ছবি তুলে চলেছেন তিনি। বিশ্বের দরবারে সেই ছবি পৌঁছে দেওয়ারয়কাজ করে চলেছেন নিরন্তর। নির্ভীক এই সাংবাদিকের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল খুললেই চোখে পড়বে যুদ্ধের ভয়াবহতার চিত্র।

সৈনিক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় কোন মহিলা সন্তানের জন্ম দিলে তাঁদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয় সন্তানের জন্মের পর সেই সৈনিককে পাকাপাকিভাবে বাহিনী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version