ইজরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ! বাইডেন কেন তেল আভিভে? পুতিন ফোন করলেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

জো বাইডেন তড়িঘড়ি ইজরায়েল যাচ্ছেন কেন? এবার আমেরিকা যুদ্ধ থামানোর নির্দেশ দেবে? নাকি হামাসের জন্য অন্য ট্রিটমেন্টের টোটকা। ইজরায়েলের মাটিতে ঘটতে চলেছে কূটনীতির বড় খেলা। ইজরায়েলের রাষ্ট্রনেতা বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু যুদ্ধের পর ছুটে যাননি আমেরিকার কাছে। হঠাৎ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেন ইজরায়েলে আসছেন? আবার এমন সময় যখন অলরেডি মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইজরায়েলে উপস্থিত। বাইডেন ইজরায়েল পৌঁছনোর আগেই পুতিনের ফোন নেতানইয়াহুকে। রাশিয়া আমেরিকাকে টপকানোর পুরো চেষ্টা করছে? পুতিন জানিয়ে দিলেন তিনি এই যু্দ্ধে কোন ভূমিকা নিতে চান কিন্তু আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমূহুর্তে দাঁড়িয়ে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তেল আভিভের মাটি থেকে বাইডেন এমন কি ঘোষণা করতে পারেন? কার পক্ষে যাবে সে ঘোষণা ইজরায়েল না গাজা? নাকি এখনই যুদ্ধ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেবেন তিনি? জল্পনা ব্যাপক বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে।

একটা সাধারণ ধারণা পাওয়া যাচ্ছে জো বাইডেনের এই সফর নিয়ে। রয়টার্স সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তেল আভিভে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর মার্কিন বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন বুধবার ইজরায়েল সফরে আসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি প্রথমত খতিয়ে দেখবেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। হামাস হামলার বিরুদ্ধে যে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার আছে সেই বিষয়ে বৈঠক করবেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি গাজা নিয়ে বড় স্ট্যান্ড নিতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি আগেই নেতানইয়াহুকে সতর্ক করে বলে দিয়েছিলেন হামাস বাহিনী কট্টরপন্থী ঠিকই কিন্তু সমস্ত প্যালেস্তিনীয়ের পরিচয় হামাস নয় সেই ইজরায়েলকে মনে রাখতে হবে।

এরই মাঝে মস্কো থেকে বড় খবর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন ভ্লাদিমীর পুতিন যেখানে তিনি জানান এই যুদ্ধের মধ্যস্থতা করতে চাইছে মস্কো। একইসঙ্গে ইজরায়েলের নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান পুতিন। বিশেষজ্ঞদের দাবি পুতিন আসলে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে চাইছে এই মধ্যস্থতার পথ ধরেই, কিন্তু রাশিয়াকে সেই জায়গা আমেরিকা ছাড়লে তো সূত্রের খবর মূলত যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতেই ইজরায়েলে পা রাখবেন জো বাইডেন। একইসঙ্গে ইজরায়েলের পরবর্তী পরিকল্পনা জানতেও বেশ আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু সংখ্যা কমিয়ে কীভাব অপারেশন চালানো যায় সম্ভবত সে নিয়েই তিনি কথা বলবেন নেতানইয়াহুর সঙ্গে। একইসঙ্গে ইজরায়েলের পর আমান গিয়ে প্যালেস্টাইনের প্রধান মহম্মদ আব্বাস ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদাল ফাতহোয়া আল সিসির সঙ্গেৎবৈঠক করার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। এবার দেখার মার্কিন প্রেসিডেন্টে ইজরায়েলের পা রাখার পর পরিস্থিতি ঠিক কোন দিয়ে গড়ায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version