সমুদ্রের অতলে কি পুষছে যুক্তরাষ্ট্র জাপান, জীবন্ত ফাঁদে হারিয়ে যায় সাবমেরিন ? ভয়ে কাঁটা শত্রুদেশ

।। প্রথম কলকাতা ।।

সমুদ্রের অতলে গোপন নজর যুক্তরাষ্ট্রের। খতারনাক সেট আপ রেডি আমেরিকার বুকে। সাবমেরিন দেখলেই বাজপাখির মতো অ্যাটাক করে সোনোবুই। কোটি কোটি টাকা দিয়ে জলের নীচে কাকে পুষছে জাপান যুক্তরাষ্ট্র? সাগরের বুক চিরে কিভাবে জীবন্ত ফাঁদ পাতছে সুপার পাওয়ার আমেরিকা। চীন রাশিয়া কাছে ঘেঁষার সাহস দেখাবে না। সমুদ্রের নীচে বালি বা মাটির উপর স্রেফ শোয়ানো থাকে যুক্তরাষ্ট্রের এই লোহার জাল? কিভাবে আটকে যায় শত্রুদেশের সাবমেরিন? কোন ক্ষমতার জোরে পাতালের খবর বাইডেনের কানে আসে? টেকনোলজির টেকনিক নাটি অন্য কায়দা খাটায় যুক্তরাষ্ট্র? গোটা বিশ্ব যা দেখেনি, সেই টেকনোলজির মালিক দুই দেশ। জাপান আর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে সাবমেরিন শনাক্তকরণের অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি।

বুঝতে হবে, আকাশপথ কিংবা স্থলপথে শত্রুর আটকে দেওয়া সহজ। কিন্তু যখন শত্রুপক্ষ এগিয়ে আসে জল পথে তাহলে কিভাবে সেই পাওয়ার কে রুখে দিতে হবে তা জানে সোনোবুই। পৃথিবীর ৪ ভাগের ৩ ভাগ জল, তাই জলপথ এতটাই বৃহৎ যে সাধারণ টহল কিংবা প্রযুক্তি দিয়ে শত্রুদেশের সাবমেরিন খুঁজে বের করা কঠিন। কিন্তু আমেরিকা এক্সপার্ট। দেশটার হাতে রয়েছে সোনোবুই, এক ক্ষুদ্র সাবমেরিন ট্র্যাকার। যা জলের গভীরে গিয়ে সেন্সরের মাধ্যমে জলের নিচে থাকা সাবমেরিন বা যে কোনও জলযানকে শনাক্ত করতে পারে। সমুদ্র যত গভীর হয় সমস্যাও ততই বেশি। সোনোবুই এর ক্ষণস্থায়ী ব্যাটারি দীর্ঘকালীন সমাধান দেয় না। এর বাইরেও দুর্ধর্ষ কালেকশন আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। বড় এলাকায় পর্যবেক্ষণ চালানোর জন্য লকহিড পি থ্রি ওরিয়ন এর জুড়ি মেলা ভার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি অ্যান্টি সাবমেরিন এয়ারক্র্যাফ্ট।

এলাকার পরিধি অনেক বিশাল হওয়ায় আকাশ পথে দীর্ঘ সময় থাকার ক্ষমতা রয়েছে পি থ্রি ওরিয়ন এর। আর এই বিমান শুধু সাবমেরিন নয় সমুদ্রের গভীরে তৈরি হওয়া সব ধরনের শব্দও শনাক্ত করতে পারে। তাই সাবমেরিন যতই অত্যাধুনিক হোক ওরিয়নের চোখ এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব। কম যায়না জাপান ও, আকাশপথ থেকেও যে সাবমেরিন খোঁজার কাজ চালানো যায় তেমন টেকনোলজি আছে দেশটার মাটিতে। ২০১৩ সালে কাওয়াসাকি প্ল্যান তৈরি করে তারা। যে সিস্টেমের মাধ্যমে আকাশ থেকেই সমুদ্রের তলদেশে নজর রাখা যায়। তবে, কাওয়াসাকি অ্যান্টি সাবমেরিন এয়ারক্র্যাফ্ট হলেও এর ক্ষমতা পি থ্রি ওরিয়ন এর মতো নয়। জানিয়ে রাখি, জাপান পৃথিবীর সবথেকে ক্ষমতাধর কিছু দেশের সাথে সমুদ্রসীমা ভাগ করে নিয়েছে। সুতরাং সাগরের বুকে কড়া নজরদারি রাখতে হবে এই দেশকে, এটাই স্বাভাবিক। সেই কড়া নজরদারির পরীক্ষায় কাওয়াসাকি অ্যান্টি সাবমেরিন জাপানকে অনেক দূর এগিয়ে রেখেছে।

এই অ্যান্টি সাবমেরিন এয়ারক্র্যাফ্ট গুলো সমুদ্রের বিশাল এলাকার গভীরে পৌঁছায় না। তাই সাবমেরিন খুঁজে বের করার জন্য এই দেশগুলো ভরসা করছে মিনি সাবমেরিনের উপর। এগুলো চালানোর জন্য প্রয়োজন হবে না কোনও যাত্রীর। অনেকটা অটোমেটিক পদ্ধতিতে অত্যাধুনিক টেকনোলজির সাহায্যে একাই এই যানগুলো চষে বেড়াতে পারবে সমুদ্রের গভীরে। তবে এই টেকনোলজি তৈরি করে গোটা পৃথিবীকে জানিয়ে দেওয়ার মতো ভুল কি করবে দেশগুলো? নিঃশব্দে সমুদ্রের বুকে শত্রুদেশকে ডিরেক্ট অ্যাটাকের প্ল্যান কষবে ঠাণ্ডাঘরে বসে। আর, আমেরিকা জাপানের টেকনোলজি জলের তলার এই জগতে ছুটে বেড়াবে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। শত্রুদেশ কাছে ঘেষার সাহস দেখাতে পারবেনা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version