Imran Khan: ইমরান খানের বিদ্রোহের মশাল নিভছে আর্মির বিরুদ্ধে ? ৩ টে পথ খানসাহেবের সামনে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Imran Khan: পাক আর্মি বানিয়ে ফেলল ইমরান খানকে পর্যুদস্তু করার ফুলপ্রুফ প্ল্যান। মাঝরাতে হাসপাতালে কেন গেলেন ইমরান খান? যে বার্তা খান দিলেন তাতে ডাল গলবে আদৌ? আশার আলো নিভে যাচ্ছে ইসলামাবাদে। ইমরান খানের কাছে আর কি কোনও অপশন বা বিকল্প বেঁচে নেই? এমূহুর্তে পিটিআই সমর্থকদের ক্ষোভের আঁচ ঠিক কতটা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু পাক সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারির পর কি অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে গেল তেহেরিক-ই- ইনসাফ?

পিটিআই প্রধান ইমরান খান স্পষ্ট জানালেন কথা বলতে চান তিনি তবে সঙ্গে দিলেন শর্ত৷ তার আগেই সেনা যেন ঘিরে নিল ইমরানকে। বেছে বেছে পিটিআই সমর্থকদের ওপর মামলা করা হচ্ছে। যে সে মামলা নয় একেবারে সেনার স্পেশাল ধারা লাগানো হচ্ছে। লন্ডনে বসে একজন মাস্টারমাইন্ড শুধু প্ল্যান দিয়ে যাচ্ছেন আর তার কথা মতোই চলছে সরকার। নাম না করলেও ইমরান খান যে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকেই তুলোধনা করেছিলেন সেটা বুঝতে বাকি নেই আর কারোর।

কিন্তু এখন প্রশ্ন পাক আর্মির বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহের মশাল জ্বালিয়েছিলেন ইমরান খান সেটা কি নিভতে চলেছে? প্রশ্ন অনেকেই করছে। কূটনৈতিক মহলের দাবি এখন ৩টে পথই খোলা রয়েছে ইমরান খানের সামনে। প্রথমত ইমরান খান আর্মি অ্যাক্টের সামনাসামনি হোন। দ্বিতীয়ত রাজনীতি ছেড়ে দিন তিনি বা দেশ ছেড়ে লন্ডনে পালিয়ে যান তিনি। শুক্রবার প্রায় মাঝরাতেই লাহোরের শওকত খানম মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালে যান ইমরান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দলীয় প্রধান ইমরান খান হাসপাতালে যান তিনি।

মোদ্দা কথা হল ইমরান খানকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে পাক সেনাবাহিনী। একের পর এক লিডার তার দল ছেড়েছেন এদিকে কয়েকশো সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে পাক পুলিশ লাহোর হাইকোর্ট ১২৩ জন পিটিআই সমর্থকদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে এর মধ্যেই। তবে এখন পিটিআই প্রধান ইমরান খান বলছেন, তিনি বসে কথা বলার জন্য তৈরি। কিন্তু যারা ষড়যন্ত্রকারী তারা কথা বলতে চাইছেন না। এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের দাবি ৯ মে যারা পাকিস্তানে সেনাভবনের ওপর হামলা করেছেন তাদের ওপর আর্মি ট্রায়াল হবে। তাদের সবথেকে কঠোর আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

অনেকেই এক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলছেন একজন সাধারণ নাগরিকের বিরুদ্ধে মার্শাল ল বা সেনা আইন কীভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব? এটাও সত্যিই যে এবার অনেক সমর্থকেরাই পিছু হটে যাচ্ছে। কারণ অনেকেই চাইছে না সরাসরি আর্মির বিরুদ্ধে যেতে। শেষপর্যন্ত কোন পরিণতির দিকে এগোয় ইমরান খান বনাম সেনার এই দ্বন্দ্ব সেটাই এখন দেখার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version