শেখ হাসিনার রাজত্বের দিন শেষ ? টলে যেতে পারে আওয়ামীলীগ! এভাবে সবটার ইতি হবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

বাংলাদেশের সরকার কি পরিবর্তন হতে পারে? আর যদি হয়ও, সেটা কীভাবে? জানিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ইতিহাস কি বলছে? নির্বাচন মানেই কি কারচুপি সহিংসতা? ১৯৯১ থেকে ২০০৮, খালেদা জিয়া কিংবা শেখ হাসিনা, যখনই ক্ষমতায় এসেছেন তখনই কি এমন গন্ডগোল হয়েছে? নাকি সুষ্ঠুভাবে হয়েছে নির্বাচন? জানলে অবাক হবেন।

এই যে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এত হইচই, গদিতে আওয়ামী লীগ সরকার থাকবে নাকি গদি হারাবে, এই নিয়ে এখন তুমুল বিতর্ক। এবার শেখ হাসিনাই খোলসা করে দিলেন, কীভাবে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন হতে পারে। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র ভোট আর নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব অর্থাৎ একটু বাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, এই যে বিএনপি এত হরতাল করছে, অবরোধ করছে, সংবিধানের অধীনে নির্বাচনের যেতে চাইছে না, এসব করে কিন্তু সরকার পরিবর্তন করা যায় না। এসব করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। সরকার পরিবর্তন করতে হলে ভোটে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ চায়, জনগণের ভোটাধিকার অব্যাহত থাকুক। ভোটের মাধ্যমেই পরিবর্তন হোক সরকার। আসলে এখানে কিছুটা হলেও শেখ হাসিনা ভীষণ কনফিডেন্স। এর আগেও বলতে শোনা গিয়েছিল, জনগণের উপর তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আর সেই আস্থার জোরে এতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। শেখ হাসিনার কথায়, যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের জনগণের প্রতি কোন আশ্বাস নেই, বিশ্বাস নেই কিংবা তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে সুসংগঠিত নয়, তারাই নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। এর জন্য চরম ক্ষতি হতে পারে দেশের। যা তিনি বিন্দুমাত্র বরদাস্ত করবেন না। কথা প্রসঙ্গে চলে আসে, ২০১৩ আর ২০১৪ সালের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা। শেখ হাসিনার প্রশ্ন, অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে এই যে এত এত জীবন সম্পত্তি নষ্ট করা, ধ্বংস করা এটা কি কোন ধরনের রাজনীতি হতে পারে? শেখ হাসিনা তাঁর কথায় বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনি নির্বাচনের জন্য একদম প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

দেখুন, বাংলাদেশে মানুষের নির্বাচনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যদি পাঁচটি নির্বাচনের কথা বলা হয়, যে দল পরাজিত হয়েছে সেই দল নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়নি। কি বিএনপি, কি আওয়ামী লীগ। ১৯৯১ সালে হয়েছিল পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জয়ী হয়েছিল বিএনপি। তখন কিন্তু দুই প্রধান রাজনৈতিক দল একে অপরের প্রতি এতটা আক্রমণাত্মক ছিল না। সেই সময় দাঁড়িয়ে, আওয়ামী লীগ নিজেদের উপর বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল। শেখ হাসিনাও জোর গলায় বলেছিলেন বড় বড় কথা। অপরদিকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। অবশেষে ক্ষমতায় আসি বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলে কোনো দল সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছিলেন, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনও ছিল বিতর্কিত। জানলে অবাক হবেন, সেই সময় আওয়ামী লীগের দাবীকে সমর্থন করেছিল জাতীয় পার্টি আর জামায়েত ইসলামী। হরতাল থেকে শুরু করে অবরোধ, বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। বিএনপি কিন্তু সেই ফলাফল মেনে নেয়নি। পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেছিল। ২০০১ সালে এসে পাশা উল্টে যায়। ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করে বিএনপি। আবার ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে আওয়ামীলীগ। তারপর থেকে একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় রয়েছে এই দল। তাই ক্ষমতায় কে থাকবে, আর ক্ষমতায় কে থাকবে না, এই মুহূর্তে বলা ভীষণ মুশকিল। সবটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশের জনগণের উপর।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version