শেখ হাসিনা ভয়পেয়ে যাচ্ছেন ? নির্বাচনে গন্ডগোল হতে পারে! কিছু সাফ কথা দেশটার প্রধানমন্ত্রীর

।। প্রথম কলকাতা ।।

বানচাল হয়ে যাবে বাংলাদেশের নির্বাচন! সতর্ক করলেন শেখ হাসিনা। ধিকে ধিকে বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। খেয়াল করেছেন? সত্যি কি ভণ্ডুল হয়ে যাবে নির্বাচন! সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে পারবেন তো? চিন্তায় গোটা দেশ। এই বুঝি কি হয় কি হয়। আন্তর্জাতিক মহল থেকে শুরু করে দেশটার নেতা মন্ত্রীদের বক্তব্যে উত্তেজনার পারদ। নিজের দেশে কেনই বা সর্তর্কে থাকবেন বাংলাদেশের মানুষ?

বিরোধীদের উদ্দেশ্যে একের পর এক খোঁচা। বিরোধীরাও ছেড়ে কথা বলছে না। পাল্টা দাগছে তোপ। সোজা কথায় বাংলাদেশে এখন টানটান উত্তেজনা। কিন্তু যে কোনো মূল্যে হতে হবে জাতীয় নির্বাচন। স্পষ্ট কথা শেখ হাসিনার। বারংবার সতর্ক থাকতে বলছেন সবাইকে। সত্যি কি তাহলে গন্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে? নির্বাচন ভেস্তে যাবে না তো? কারা বাঁধাবে গন্ডগোল? একদিকে আওয়ামী লীগ, অপর দিকে বিএনপি। একে অপরের উপর দোষারোপের পালা চলতেই থাকছে। আর দ্বন্দের মাঝে দ্বিধাবিভক্ত সাধারণ মানুষ।

বেলজিয়াম এবং ইউরোপে বাংলাদেশি কমিউনিটিদের আয়োজিত সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনকে কোনো ভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। বানচাল হতে দেবেন না। সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। তার দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাতে যেন সাধারণ মানুষ কর্ণপাত না করে। গত ১৫ বছর বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব উন্নয়নের সাক্ষী থেকেছে, সেই কথা তুলে ধরার আহ্বান জানান দলের নেতাকর্মীদের। শেখ হাসিনার কথায়, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে উন্নয়নশীল দেশে। আন্তরিকতা, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের জোয়ার। কমছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। প্রায় ৮ লক্ষ ৪০ হাজার গৃহহীন ভূমিহীন পরিবার পেয়েছে বিনামূল্যের বাড়ি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আরো স্মার্ট। সেই লক্ষ্যেই চলছে বিস্তর প্ল্যানিং।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল হোক কেউই চায় না। সবাই চাইছে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবিও একই। বাংলাদেশ সরকার প্রধানেরও এমন দাবি। বিরোধী রাজনৈতিক দলও কিন্তু শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে। মাঝখানে তীব্র গুঞ্জন উঠেছিল, যুক্তরাষ্ট্র নাকি শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে কোন বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হয় সেই জন্যই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। প্রসঙ্গত ভারতও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, দেশটার জনগণ যেমন বলবে তেমন ভাবেই হবে নির্বাচন। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়।

গত মাসেই বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে শেখ হাসিনার সাফ বক্তব্য ছিল, নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক অর্থাৎ জনগণ ভোটে অংশ নিয়ে যে রায় দেবে সেই অনুযায়ী গঠন হবে সরকার। অপরদিকে বিরোধীদের দাবি, সুষ্ঠুভাবে যে নির্বাচন হবে সেই পরিকাঠামোটাই তৈরি হয়নি। বিরোধীরা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তার আগেই তৈরি হচ্ছে হাজারো সমস্যা। নির্বাচনের দিন যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে জল ঘোলা। বাংলাদেশের মানুষ কতটা শান্তিপূর্ণভাবে পছন্দের প্রার্থী বাছতে পারলেন, তা বলে দেবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং ফলাফল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version