।। প্রথম কলকাতা ।।
ইরানের শুধু মুখেই হুমকি অ্যাকশন জিরো কেন ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে কোনওদিনও জড়াবে না তেহেরান? ইরান কি আমেরিকাকে ভয় পায়? নরেন্দ্র মোদীকে মুখ ফসকে সত্যিটা বলে ফেলেছিলেন রাইসি। ইজরায়েলের তান্ডবের মাঝে ইরানের একটা ইশারার অপেক্ষা করছে সবাই কিন্তু ইরান সেই ইশারা কখনই করবে না তাহলে এটা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে আসলে ইজরায়েলকে ভয় পায় ইরান? ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়েলের ওপর অ্যাটাক করার পর থেকে বারবার ইরান হুমকি দিয়েছে এবার কিন্তু তারা হিজবুল্লাকে যুদ্ধে নামাবে তারা ইজরায়েলকে মুহ তোড় জবাব দেবে কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে কোথায় হিজবুল্লা কোথায় বা ইরান? তেহেরান তো ভারতের কাছে যুদ্ধ বন্ধ করার কাকুতি মিনতি করছে। প্রশ্ন উঠছে কেন প্যালেস্তানীয়দের ওপর নির্মম অত্যাচারের পরও যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভাবে নামছে না ইরান?
ইতিহাস স্বাক্ষী রয়েছে ইজরায়েল ও ইরান পরস্পরের ডাই হার্ট এনিমি। ইসরায়েলের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে ইরান। তারা বিবেচনা করে ইসরায়েল অবৈধভাবে মুসলমানদের ভূমি দখল করে রেখেছে। এদিকে ইসরায়েল তাদের অস্তিত্বের জন্য ইরানকে তাদের হুমকি হিসেবে দেখে। তবে ইরানের প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করার জন্য তেহেরানের মোক্ষম ক্ষতি করে দিয়েছিল তেল আভিভ। ইসরায়েল সব সময় বলে এসেছে ইরানের অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত হবে না। আমেরিকাও ইজরায়েলের কথাই শুনেছে তাই একপ্রকার ইরানের ডিফেন্সে পঙ্গু করে রেখেছিল নেতানইয়াহুর দেশ। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ইরানের কাছে তা সত্ত্বেও তেহেরান এখনও শুধু হুঁশিয়ারিই দিয়ে যাচ্ছে
লেবাননে হিজবুল্লাকে। বিশ্বের অনেকটাই শক্তিশলী জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হিজবুল্লার হাতে এখন দেড় লাখের মতো রকেট রয়েছে। হিজবুল্লার সেনাসংখ্যা লাখের অধিক কিন্তু তাদের হাতে এক শক্তি থাকা সত্ত্বেও ইরানের ইশারা ছাড়া তারা কোনওভাবেই যুদ্ধে নামবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু ইরান নয় সৌদি আরব ও তুরস্ককেও খুব বেশি এই যুদ্ধে জড়াতে দেখবেন না আপনারা। যেন তারা কার্যত পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। সেখানেই কার্যত ক্ষুব্ধ হচ্ছে মুসলিম বিশ্ব। ইরান কেন যুদ্ধে নামবে না তা নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পশ্চিমি মিডিয়া। ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে হিজবুল্লা ইরানের কাছে একটা অনেক বড় অ্যাসেট। হিজবুল্লাকে এতটা শক্তিশালী করতে অনেক বছরের পরিশ্রম লেগেছে। ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ালে যে পরিমাণ ক্ষতি হবে তা সামাল দিয়ে উঠছে কয়েক দশক লেগে যাবে ইরানের। ইরান চায় আল আকসা মজসিদ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের হাতে আসুক কিন্তু ইরান কোনওভাবেই যুদ্ধে জড়াবে না। আর সেটারই আরেকটা উদাহরণ হল ভারতের কাছে তেহেরানের যুদ্ধ থামানোর আর্জি। মোদী ফোন করে রাইসি বলেছিলেন ভারত যাতে সর্বশক্তি লাগিয়ে দেয় যুদ্ধ থামাতে। এখান থেকেই পরিস্কার ইরান অন্য অঙ্কই কষছে যুদ্ধের মাঝে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম