চীনকে সুপারপাওয়ার হতে দেবে না ভারতের অস্ত্র, আন্দামান-নিকোবরেই রয়েছে আসল সিক্রেট

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনকে ঘায়েল করতে ভারতের কাছেই আছে মোক্ষম অস্ত্র। তলে তলে শান দেওয়া হচ্ছে সেই অস্ত্রে। কী সেই অস্ত্র? যা চীনকে সুপার পাওয়ার হতে দিচ্ছে না! ভারতের ম্যাপটা একবার ভাবুন, চোখের আড়ালে পড়ে যাচ্ছে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এটা শুধুমাত্র দ্বীপপুঞ্জ নয় চীনের বিরুদ্ধে ইম্পর্ট্যান্ট হাতিয়ার। যার কাছে ড্রাগনের চোখ রাঙানি জল ভাতের মতো। কিন্তু কিভাবে? চীনের কাছে এই অঞ্চল এত ভয়ের কেন? কী আছে এখানে?

বুঝতে গেলে কয়েকটা পয়েন্ট খেয়াল করতে হবে। চীনের আসল চাহিদা টা কী? ১৯৪৯ সালের পর চীন বুঝে গিয়েছে, আসল যুদ্ধ অস্ত্রের নয়, অর্থনীতির। যেখানে বুলেট ছাড়াই জেতা যায়। টেকনিকটা খুব সহজ। বিশ্বকে এমন কিছু দাও যা বাকি কেউ দিতে পারবে না। আর তার আগে গোটা দুনিয়ার কাছে নিজেকে স্বাধীন করো। এই স্ট্র্যাটেজিতে চীন এখন পৃথিবীর ফ্যাক্টরি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চীন বিশ্বাস করে, পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ থাকে। এক, যারা ডমিনেট করে, দ্বিতীয়ত যারা ডমিনেট হয়। তাই আধিপত্য বিস্তার করতে, হাতে নিয়ে ফেলে মেড ইন চায়না মডেল। চীনে টেসলা থেকে অ্যাপেল, বড় বড় কোম্পানি প্রোডাক্ট উৎপাদন করে। চীনে চলে ৯৯৬ কৌশল। অর্থাৎ সকাল ন’টায় কাজ শুরু, রাত নটায় কাজ শেষ এবং সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করা। এই মিশনে যে এত প্রোডাক্ট উৎপন্ন হবে তা গোটা পৃথিবীতে কিভাবে ছড়িয়ে দেবে? আর এর জন্যই তো এত দ্বন্দ্ব। একদিকে তাইওয়ানকে কব্জা করতে চাইছে, অপরদিকে পণ্য পৌঁছে দিতে চায় আফ্রিকা পর্যন্ত । যেখানে দরকার ভারত মহাসাগরকে। তার জন্য আলাদা আলাদা দেশে বিভিন্ন প্রজেক্ট চালাচ্ছে। লোন দিচ্ছে। এমন ভাবে লোন দিচ্ছে যা বহু দেশ শোধ করতে পারছে না। তারপর চীন কাবু করে নিচ্ছে সেই সব দেশের বহু বন্দর।

কিন্তু চীনের সুপার পাওয়ার হওয়ার দৌড়ে বড়সড় বাধা ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এটি রয়েছে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে। কাছেই রয়েছে মিয়ানমার আর ইন্দোনেশিয়া। আন্দামান নিকোবরের অবস্থান ঠিক মালাক্কা প্রণালী আর দশ ডিগ্রি চ্যানেলের মুখে। এই প্রণালী দিয়েই প্রায় এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অর্থাৎ আসিয়ান দেশগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত এবং ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু। ভারত যদি কখনো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার প্ল্যান করে, তাহলে মোক্ষম জায়গা হবে এই দ্বীপপুঞ্জ।

এই দ্বীপপুঞ্জই এখন চীনের পথের কাঁটা। এখানেই রয়েছে ভারতের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন। মধ্যপ্রাচ্য থেকে চীনের প্রায় ৫৩ শতাংশ তেল আসে এই জোন দিয়ে। যা ভেঙে দিচ্ছে চীনের স্ট্র্যাটেজি। তাই তো এই দ্বীপপুঞ্জের এত কদর। দাম বুঝতে পেরেছে ভারত। নিরাপত্তায় ব্যবহার করছে সাউন্ড সিস্টেম সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। সম্প্রতি প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার প্রোজেক্ট শুরু হওয়ার কথা। যেখানে তৈরি হবে এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে ট্রান্স শিপমেন্ট পোর্ট। এখানে মিসাইল ছোঁড়া , মিলিটারি সুবিধা থেকে শুরু করে রয়েছে এক ডেডলি কম্বিনেশন, যা কয়েক বছর পর চীনের কাছে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। আসলে ভৌগোলিক অবস্থান যদি শক্ত হয় তাকে দুনিয়ার শক্তিশালী কোন টেকনোলজি হারাতে পারে না। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version