ভারতের গোর্খা রেজিমেন্টে চিনের নজর! কেন? নেপাল রাজী হলে সর্বনাশ

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের হাত থেকে নেপালি গোর্খা সেনা ছিনিয়ে নেবে চিন। পিএলএ আর্মির পরিস্থিতি নিয়ে বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে। চিন কেন চাইছে গোর্খারা এবার লালফৌজে সামিল হোক? ভারত আটকাতে পারবে? নয়ত ঘুরে যেতে পারে গোটা খেলা। যারা বলে আমরা মরতে ভয় পাই না তারা হয় মিথ্যে বলে নয়ত তারা গোর্খা। চিন চাইছে নেপালের গোর্খা এবার যোগ দিক পিএলএ আর্মিতে। রিপোর্ট বলছে তেমনই চলছে বেজিংয়ের অন্দরে ভাবনা চিন্তা। কিন্তু এটা হলে তো সর্বনাশ৷ ভারতে গোর্খা রেজিমেন্টে তো আগে নেপালি গোর্খারা নিয়োগ হত৷

ইন্ডিয়ান আর্মি নিয়ম কি বলদে ফেলল? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা কিন্তু অ্যালার্মিং পরিস্থিতি চিন ঘেষা নেপালের কমিউনিস্ট সরকার একবার চিনকে গোর্খাদের দিতে রাজী হয়ে গেলে। বেজিং কীভাবে কোন কৌশলে আটকাবে ভারত? ভারতের গোর্খা রেজিমেন্ট জলন্ত লোহা গোর্খা রেজিমেন্টের শক্তিকে গোটা বিশ্ব মানে বলিদানের আরেকটা নাম গোর্খা রেজিমেন্ট। হাতে খুকড়ি থাকলে মৃত্যুকেও সবক শেখায় এই রেজিমেন্ট। দেশে যত বার সংকটের মেঘ এসেছে চোখের পাতা ফেলতেই প্রস্তুত থেকেছে গোর্খা রেজিমেন্ট। প্রথম অ্যাঙ্গলো-নেপালি যুদ্ধে গোর্খাদের দম দেখেছিল বিশ্ব৷ এছাড়াও গোর্খা- শিখ যুদ্ধ, অ্যাঙ্গলো-শিখ যুদ্ধ এমনকি আফগান যুদ্ধেও পরাক্রমের পরিচয় দিয়েছিল গোর্খারা। কিন্তু এবার সমস্যাটা অন্য জায়গায়৷

তথ্য বলছে গত ১ বছর ধরে নেপালি গোর্খা নিয়োগ হচ্ছে না গোর্খা রেজিমেন্টে৷ নেপালের সরকারের দাবি নেপালি গোর্খাদের ইন্ডিয়ান আর্মি যাতে অগ্নিপথ স্কিমের আন্ডারে তাদের যাতে না ফেলে। এদিকে ভারতীয় সেনাও জানিয়ে দিয়েছে তারা কোনো ভেদাভেদ করবে না এক্ষেত্রে। কিন্তু চিনের কাছে পিএলএর মতো দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনী থাকতে হঠাৎ নেপালী গোর্খাদের দিকে চোখ পড়ল কেন?

পিএলএ ডেইলির রিপোর্ট বলছে অতি উচ্চতায় কাজ করতে গিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন জওয়ানেরা। তাদের অ্যাঙ্গজাইটি অ্যাটাক হচ্ছে। এত বেশি চাপে অনেক বেশি দেখভালের প্রয়োজন তাদের। এছাড়াও হাই অল্ডিটিউডে অনেক বেশি ঠান্ডা, লো অক্সিজেন এছাড়াও চিনে জোর করে সেনাবাহিনীতে ভর্তি চাপ। সবমিলিয়ে বিশেষ কিছু জায়গায় ব্যর্থ হচ্ছে লালফৌজের দল৷ তাই শি জিনপিং সরকারে নজর নেপালের ওপর।

ভারতের প্রাক্তন ফরেন সেক্রেটারি বিজয় গোখলে তাঁর রিসার্চ পেপারে বলছেন চিন আসলে চাইছে নেপালে তাদের পলিটিক্যাল অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা করতে। আমেরিকা নেপালে নিজেদের অবস্থান মজবুত করলে চাপে পড়ে যায় চিন। ভারতের প্রতিবেশী এই দেশকে প্রতিরক্ষার দিক থেকেও চিন চাইছে নিজেদের হাতের মুঠোয় করতে৷ এবার নেপালের সরকার গোর্খাদের চিনের হাতে তোলার সিদ্ধান্ত নিলে ভারত যে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না তা অনুমান করাই যায়৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version