ভারতের চরম ঘোষণা প্যালেস্টাইন নিয়ে! স্ট্যান্ড পাল্টাচ্ছে দিল্লি? ইজরায়েল চমকে গেল

।। প্রথম কলকাতা ।।

প্যালেস্টাইন নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করে দিল ভারত ভারতের সমর্থন কী ফের পাল্টে যাচ্ছে? ইজরায়েলের গাজা হামলা নিয়ে কি বললেন জয়শঙ্কর? ভারত যে পথ দেখাচ্ছে তার ইমপ্যাক্ট কতটা? রাশিয়া ইউক্রেন যু্দ্ধে যেমন ভারতের অবস্থান নিয়ে যেমন তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছিল ঠিক তেমনটা এবারও হচ্ছে। যারা এই প্রতিবেদন পড়ছেন, শুনছেন বা দেখছেন তারা বলতে পারবেন ভারত কাকে সমর্থন করছে ইজরায়েল- প্যালেস্টাইন যুদ্ধে? অনেকেই কিন্তু এখনও দ্বিধাগ্রস্থ, কনফিউজ! অনেকেই ভাবছেন ভারত তো ইজরায়েলের বন্ধু তাই স্বাভাবিকভাবে ইজরায়েলকেই সমর্থন করবে। না ভুল হচ্ছে, তাই এখানেই ভুলটা শুধরে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইজরায়েলের পাশে আছি এই বক্তব্যের মানে কিন্তু এটা নয় যে ইজরায়েলের হামলা নির্বিচারে গাজার ওপর অ্যাটাক এগুলোকে সমর্থন করে। বরং করে না সেটাই বলা বাহুল্য।

এশিয়ার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের একের পর এক দেশও ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বে দ্বিধাবিভক্ত। তবে ভারত বিলক্ষণ জানে তাদের স্ট্যান্ড পয়েন্ট কি? আর সেটাই আরও একবার পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বুঝিয়ে দিলেন ভারত কোনও ধরণের হামলাকে সমর্থন করে না। কী বললেন এস জয়শঙ্কর? এই মূহুর্তে এই স্টেটমেন্ট আপনার জানা উচিত যদি এই যুদ্ধ সংক্রান্ত খবর নিয়ে আপনি আপডেটেট থাকতে চান তাহলে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “গত ৭ অক্টোবর থেকে যেসমস্ত ঘটনা ঘটে চলেছে সেটা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। সকলেই আশা করছেন যে গোটা পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে যাক, তবে সন্ত্রাসবাদ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।” এরপরই প্যালেস্টাইনের সমর্থনে ভারতের বড় প্রতিক্রিয়া। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন প্যালেস্টাইন নিয়েও সমস্যা রয়েছে। সেখানকার মানুষের সমস্যা দূর করা প্রয়োজন। একাধিক বিশেষজ্ঞদের মত, প্যালেস্টাইনের নাগরিকদের প্রতি ক্রমাগত অবিচারের ফলশ্রুতিই হামাসের এই হামলা।

জয়শংকরের মতে, আমরা চাই দুই দেশ মিলেই সমাধানের পথ খুঁজুক। একমাত্র কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা মেটানো যেতে পারে। সংঘর্ষ বা সন্ত্রাসবাদ দিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এর মানে ভারত আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিল গাজার ওপর ইজরায়েলের এই তীব্র হামলাকে কোনওমতে সমর্থন করছে না দিল্লি। তাতে ইজরায়েলর ভারতের যত ভালো বন্ধুই হোক না কেন মনে রাখতে হবে হামাসের হামলার তীব্র নিন্দা করে। যেমন ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্যালেস্টাইনের দুর্গতদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে ভারত। ভারত যে আলোচনার মাধ্যমেই দুপক্ষের সমাধান চায় সেটাই কার্যত পরিস্কার করে দিল দিল্লি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version