কানাডার উপর বড় অ্যাকশন ভারতের, কনসুলেট বন্ধ ? ৭ দিনেই এসপার-ওসপার

।। প্রথম কলকাতা ।।

কড়া মুডে ভারত। কানাডার উপর নিয়ে নিল বড় অ্যাকশন। ৭ দিনের মধ্যেই করতে হবে এই কাজ। ট্রুডোর বাড়াবাড়ির ফলে, টার্গেটে কানাডার কনসুলেট। আমেরিকাও পড়লো বড় পরীক্ষায়। বাইডেন কি লুকিয়ে আসবেন ভারতে? কানাডার সামনে মুখ দেখাবে কী করে?কীই বা উত্তর দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? ট্রুডোকে কোণঠাসা করতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো নয়াদিল্লি। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল ভারত।

ঠিক ৭ দিন সময়। তারমধ্যেই ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে সরাতে হবে। সাফ কথা, সমসংখ্যক কূটনীতিকে কনস্যুলেট চালাতে হবে নাহলে? কথায় কাজ নাহলে কনসুলেট বন্ধ? খুব ক্রুশিয়াল টাইম। ভারত কানাডা সম্পর্কে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তিক্ততা আরও বাড়ছে। কানাডায় খলিস্তানী জঙ্গি নিজ্জর খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এই সিচুয়েশনে দাঁড়িয়ে নয়াদিল্লির নির্দেশে দু’দেশের সম্পর্কে বড় এফেক্ট ফেলবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। শুধু কানাডা নয় ব্যাপক চাপে পড়ে যাচ্ছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপর চটে যাবেন না তো? যখন কানাডার সঙ্গে ভারতের তুমুল দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে তখনই ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে দেশে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানাল নয়াদিল্লি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে কিন্তু বন্ধুত্বের পরীক্ষা। বুঝতে হবে, ট্রুডো যখন থেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ভারতকে তারপরেই একটা রিপোর্টে উঠে এসেছে খালিস্তানী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুতে কানাডাকে নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই তদন্তে সাহায্য করছে। তাই, ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আসাটাকে কানাডা যে মোটেই ভালো চোখে দেখবে না এটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এখন এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই কানাডার। কারণ, ট্রুডো সরকারকে ভারত থেকে কূটনীতিকদের সংখ্যা কমানোর নির্দেশ বিদেশ মন্ত্রকের। নির্দেশ না মানলে ডিরেক্ট কনস্যুলেট বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী প্রশাসন।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলছে, কানাডায় ভারতের যে সংখ্যক কূটনীতিক রয়েছেন, সেই তুলনায় নয়াদিল্লিতে কানাডার কূটনীতিকদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তাই দু’দেশের মধ্যে সমতা রাখা উচিত। আর সেই কারণেই ভারত থেকে ৪১ জন কানাডার কূটনীতিককে সরানোর কথা বলা হয়েছে জানিয়ে রাখি, আপাতত ভারতে কানাডার ৬২ জন কূটনীতিবিদ আছেন। ৪১ জনকে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে হবে কানাডাকে। ‘ডেডলাইন’ পেরিয়ে গেলে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হবে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এরপর কী হবে? টেনশন বাড়ছে। ভারত কী প্রয়োজনে আরও বড় কোনো স্টেপ নিতে পারে? এবার ট্রুডো টের পাবেন। ভাসা ভাসা কথা দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অ্যালিগেশন আনা, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভাবমূর্তিতে কালি ছেটানোর ফল কী হতে পারে। ভালোমতো আন্দাজ করতে পারবে কানাডা। এই তো সবে শুরু, বাকিটা তো সময় আর পরিস্থিতির উপর।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version