ভারত তেল কিনবে চীন! মোদীর ১৪ বিলিয়নের ম্যাজিক খেলা ঘোরালো

।। প্রথম কলকাতা ।।

মোদীর সিক্সার, ক্রুড তেল এবার বেচবে ভারত কিনবে চীন।  ভারতের হাতে জ্যাকপট লেগে গেল। সরাসরি ১৪ বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট। তেল নিয়ে রাশিয়ার ভারতকে ব্ল্যাকমেলের দিন শেষ। জি২০ মাঝে ভারতের বড় সাকসেস। এ তো সবে শুরু এবার হবে একের পর এক ওভার বাউন্ডারি। ভারত তেল বেচবে বিশ্বকে। চীন কিনবে সেই তেল কীভাবে কোথা থেকে? পশ্চিম আফ্রিকার  মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ দেশ আর সেখানেই ভারতের নতুন খেলা, কিন্তু এই খেলা কারোর সর্বনাশ করবে না বরং একটা গরিব দেশকে সুযোগ করে দেবে ধনী হওয়ার। ভারত নাইজেরিয়া বিনিয়োগ করল ১৪ বিলিয়ন ডলার। জানেন এ মূহুর্তের জিওপলিটিক্স এটা ঠিক কত বড় খবর? দিল্লির জন্য নাইজেরিয়ার মতো গরিব দেশ এত ইমপরটেন্ট দেশ কেন?

খবরটা শুনে মস্কো যে একেবারেই খুশি হবে না তা বলা যায় বাজি রেখে। কারণ রাশিয়ার মনোপলির দিন শেষ। বিশেষজ্ঞরা পরিস্কার বলে দিচ্ছেন ২২ কোটির জনসংখ্যার নাইজেরিয়ায় ফোকাস করা মানে আফ্রিকার অর্থনীতির ব্যাকবোনে ইসভেস্টমেন্ট করা। ক্রুড তেলে সমৃদ্ধ একটা দেশ হল নাইজেরিয়া। কিন্তু সেই দেশের কাছে প্রপার রিফাইনারি বা পরিশোধনাগার নেই। ২০১৩ ভারত প্রচুর পরিমাণে কাঁচা তেল কিনত নাইজেরিয়া থেকে। ২০১৩ ভারত নাইজেরিয়ান ক্রুড তেলের একা সবথেকে বড় আমদানিকারক ছিল। তারপর এমন কি হয়ে গেল? বিশেষজ্ঞদের দাবি ভারত যেন গত দুবছরে কার্যত অবসেসড হয়ে পড়েছিল মস্কোর তেল নিয়ে। কিন্তু সেই ঘোর এখন কার্যত কেটে গিয়েছে তাদের।

সবথেকে বড় বেজিংও রীতিমত আগ্রহী নাইজেরিয়ান ক্রুড তেল কিনতে, কিন্তু এবার সেটা ভারতের থেকে কিনতে হবে চীনকে। ভারত কি নাইজেরিয়া থেকে তেল এনে বিক্রি করবে ভারতে? না বিষয়টা তেমন নয় জানা যাচ্ছে ১৪ বিলিয়ন ডলার এর মানে ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটির ওপর বিনিয়োগ নাইজেরিয়ায় করতে চলেছে ভারত। কাঁচা তেল এমনি বিক্রি করলে তার দাম খুব কম, কিন্তু এরপর এর পরিশোধন হয়ে গেলে সেটা যেন তরল সোনা। যেহেতু নাইজেরিয়ায় কোনও বিশেষ রিফাইনারি নেই তাই ভারতের রিফাইনারি কোম্পানিগুলো নাইজেরিয়ায় তাদের পরিশোধনাগার খুলতে আগ্রহী। এতেই গরিব দেশটার বড়সড় লাভ। একটা রিফাইনারি খোলা মানে প্রচুর কর্মসংস্থান। আর তারপর ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তরল সোনা বিক্রির মুনাফা। অনেকেই বলছেন গরিব এই দেশটার ভাগ্য ফিরে যেতে পারে যদি সবকিছু মোদীর পরিকল্পনামাফিক হয় তো। ১৪ বিলিয়নের মধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হবে নাইজেরিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিকে উন্নত করার জন্য। ৩ বিলিয়ন ডলার জিন্দল স্টিল খরচ করবে সেখানকার স্টিল ইন্ডাস্ট্রিতে।

এক্ষেত্রে চীনের আপত্তি থাকতে পারে কারণ নাইজেরিয়া দেশটাই চলছে বেজিংয়ের দেওয়া ঋণে। সেদেশের মানুষ চায় তাদের ওপর থেকে চীনের প্রভাব শেষ হোক। সেজন্যই সম্প্রতি নাইজেরিয়ার নির্বাচন থেকে বেজিংকে কীভাবে দূরে রাখা যায় তার চেষ্টাও করেছে সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলো। এখন প্রশ্ন হল ভারতই কী তাহলে এবার উদ্ধার করবে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশকে চীনের হাত থেকে?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version