।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia-Ukraine Conflict: ভারতে (India) আক্রমণ চালাবে চীন (China)। চীনের এই পরিকল্পনার পিছনে মদদ জোগাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine Conflict)। এমনটাই দাবি প্রাক্তন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিসের। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এই প্রতিক্রিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাঁর মতে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলাফল কি হয় সেই দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে চীন। এর মাঝে চীন ভারতে হামলা চালাতে পারে। শুধু তাই নয়, তিনি ভারত-চীন সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৩ মার্চ রাইসিনা সংলাপের অষ্টম সংস্করণের সময় প্রাক্তন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস ভারতে চীন হামলা চালাতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, চীন ইউক্রেনের যুদ্ধ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যদি রাশিয়া ইউক্রেনে সফল হয় তবে চীন নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতে আক্রমণ করতে উৎসাহিত হতে পারে। আসলে জিম ম্যাটিসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমেরিকা কি চীনের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চীন যে প্রস্তুত তাতে কোন সন্দেহ নেই। উপরন্তু তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। চীন এই যুদ্ধের দিকে বিশেষভাবে নজর রেখেছে। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সাফল্য পায় তাহলে চীন ভারতের বিরুদ্ধে একই কাজ করতে পারে।
তিনি আরো জানান, রাশিয়া ইউক্রেনের বিপক্ষে তিন সপ্তাহের মধ্যে জিতত, কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলির সহায়তায় ইউক্রেন রাশিয়াকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমেরিকা দেখেছে পুতিন অতীতে এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে, কিন্তু পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি নিয়ে আবারো কথা বলা উচিত। এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান এবং অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীর জেনারেল অ্যাঙ্গাস জে ক্যাম্পবেলও উপস্থিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার জেনারেল জানান, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ অবৈধ। পাশাপাশি এখানে একটি দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে। শক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারত বিশ্বের শান্তি আনতে পারে। এই লড়াইয়ে সবথেকে বড় শিক্ষা হল, আমাদের আত্মনির্ভরশীল হতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন যুদ্ধ না ঘটে।
এক বছর হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। এই যুদ্ধে না ইউক্রেন হেরেছে, না রাশিয়া জিতেছে। এই যুদ্ধের জেরে প্রথম দিকে রাশিয়ার রীতিমত পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে এক ঘরে হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে ব্যবসা-বাণিজ্যের সহায় হিসেবে ভরসা রাখতে হয়েছে এশীয় দেশ গুলির উপর। যুদ্ধের বিরুদ্ধে সবাই শান্তির বার্তা দিলেও গোটা বিশ্বজুড়ে স্নায়ুযুদ্ধ অব্যাহত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম