।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনের বিরুদ্ধে বড় কোনো স্টেপ নিতে যাচ্ছে ভারত? এবার কী অন্য ডোজে সমঝোতার চেষ্টা? লাদাখে লালফৌজের সঙ্গে ফের বৈঠকে ইন্ডিয়ান আর্মি। সীমান্ত সমস্যা মেটার চান্স ৫০-৫০? লাদাখের ডেপসাং-ডেমচক নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে ভারত। ডেপসাংয়ে কী এমন দেখলো চীন? যে সরতেই চাইছে না। দুদিন আগে ১০ ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে ভারত-চীন সেনার কমান্ডার পর্যায়ে। সেটা ব্যর্থ তাই দেরী না করে নেক্সট স্টেপ নিয়েই ফেলল নয়া দিল্লি।বর্ডার ক্রাইসিস মেটাতে দৌলত বেগ ওল্ডি ও চুশুলে মেজর জেনারেল স্তরের বৈঠকে বসেছে দুই দেশ তাহলে কী এবার বৈঠক সফল হওয়ার চান্স থাকছে?
সেনা সূত্রে খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ডেপসাং সমতলে ফের সেনা টহল শুরু করা নিয়ে কথা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। চারদিং নালা বা ডেমচকে চীনা সেনার উপস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ভারত কিন্তু চাইছে শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টা মিটমাট করে নিতে। কিন্তু ডেপসাং-ডেমচক যেন চীনের কাছে অমূল্য সম্পদ। LAC-র ১৬-১৭ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত ডেপসাং ঘিরে রয়েছে পিএলএ আর্মি। ফলে ভারত সেখানে পেট্রোলিং করতে পারছে না। স্ট্র্যাটেজিক এলাকা ডেপসাং। বেজিং মনে করে এই এলাকাতে ভারতের সেনা কোনওভাবে ঢুকলে সেটা চীনের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আর চীনা সেনার উপস্থিতির কারণেই ভারতের কাছে রণকৌশলগত ভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দৌলত বেগ ওল্ডি এয়ার স্ট্রিপ কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ডেমচক এলাকাও কিন্তু বর্তমানে পিএলএ আর্মি কন্ট্রোলে। এখানে থাকা চারদিংলা নালাতেও ভারত পেট্রোলিং করত। ২০২০র গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে সেটাও বন্ধ।
তাহলে কী চীন দুদেশের মধ্যে শান্তি চিরস্থায়ী করতে ভারতের জমিতে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ ক্রিয়েট করতে চাইছে? দিল্লি কিন্তু তাতে সম্মত নয়। তাই অ্যাকশন নেওয়ার আগে ভারত চাইছে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলাতে। এবারের বৈঠক সাকসেসফুল হলে ডেপসাং-ডেমচক থেকে সেনা সরানো নিয়ে ফের কোর কমান্ডার স্তরে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু লালফৌজের আগ্রাসনে দু দেশের সম্পর্কে যেভাবে ফাটল ধরেছে, তা মেরামত করা কী এতো সহজ হবে? বড় প্রশ্ন। তবে, এই বৈঠকটা কিন্তু খুব ইম্পরট্যান্ট। জি-২০ সামিট রয়েছে ২২-২৪ আগস্ট। মুখোমুখি হবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফলে বর্ডার ক্রাইসিসের সমাধান হলেও হতে পারে ক্ষীণ আশা বিশ্লেষকদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম