German Foreign Minister: ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে ভারত রোল মডেল’, জার্মানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর ভারতের

।। প্রথম কলকাতা ।।

German Foreign Minister: ভারত সফরে রয়েছেন জার্মানির বিদেশ মন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। দিল্লিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। দিল্লিতে জয় শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করার সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে ভারত একটি রোল মডেল, জানিয়েছেন আনালেনা।

তাঁর বক্তব্য, ভারতীয় গণতন্ত্র ও সংস্কৃতিকে দেখেই পথচলা শিখেছে অনেকে। তাঁর কথায়, ‘ভারতের সমৃদ্ধশালী ইতিহাস দেখে সবাই অনুপ্রাণিত হই আমরা। তবে আজ যখন ভারতে পা রেখেছি তখন বুঝতে পারছি, এদেশের স্বাধীন হওয়ার পথ খুব একটা সহজ ছিল না’। বেয়ারবক বলেছেন, ‘গান্ধীজিকে হত্যার পর প্রায় ৭৫ বছর কেটে গিয়েছে। তখন থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের দুই গণতন্ত্রের মধ্যে আরও ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। একে অপরের মূল্যবোধ, মানবাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও আইনের প্রতি ভরসার দিক থেকে আমরা প্রতিনিয়ত আলোচনা করি‌। এই বছর একাধিকবার আমাদের বৈঠক হয়েছে, আর তা হয়েছে দু’দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা মনে রেখেই’।

ভারত সফরে এসে এহেন নানা বক্তব্য রেখেছেন জার্মানির বিদেশ মন্ত্রী। ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তির স্বাক্ষর একটি সমসাময়িক দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের ভিত্তির এক শক্তিশালী ইঙ্গিত দেয়’। অন্যদিকে বেয়ারবক বলেছেন, ‘বিশ্ব যখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন একসঙ্গে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ’। পরবর্তীতে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে পরিমাণ তেল আমদানি করেছে, তা ১০টি দেশের মিলিত মাত্রার থেকে বেশি’। একইসঙ্গে জার্মানের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ও পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে, জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

এদিকে সেদেশের বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন, ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতে চায় জার্মানি। আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত G-20 সভাপতিত্ত্বের দায়িত্ব নেওয়ার চার দিন পরই, দু’দিনের সফরে নয়া দিল্লিতে এসেছেন বেয়ারবক। তাঁর এই সফরে জ্বালানি, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হবে। এর আগে বেয়ারবক একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘ভারত সরকার শুধু G-20’তে নয়, নিজের লোকেদের জন্য নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে’।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version