বাংলাদেশে ভারত-চীনের তুমুল প্রতিযোগিতা! এগিয়ে কে? কে কাকে টক্কর দিল?

।। প্রথম কলকাতা ।।

বাংলাদেশে চলছে ভারত চীনের তুমুল প্রতিযোগিতা! এগিয়ে কে? কে কাকে টক্কর দিল? চীন নাকি ভারত, কাকে বেশি বন্ধু ভাবে বাংলাদেশ? গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে কাবু করতে চাইছে চীন, কিন্তু সমস্ত চাল ভেস্তে দিচ্ছে ভারত। শত চেষ্টা করেও সাকসেস পাচ্ছেন না শি জিনপিং। বাংলাদেশকে নিয়ে কেনই বা এত প্রতিযোগিতা? টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবি শুনলে চমকে যাবেন।

ভারত কিভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব মোকাবিলা করছে তার ব্যাখ্যা করল থিং ট্যাঙ্ক। বিশদে বড় বড় করে ছাপা হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ায়। বাংলাদেশে কিন্তু চীনের আক্রমণাত্মক প্রচেষ্টা কম নেই। শুধু বাংলাদেশ কেন, গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে রাখতে চাইছে নিজের কব্জার মধ্যে। আর সেখানেই পাহাড় সমান বাধা তৈরি করেছে ভারত। ব্যবসায়িক স্বার্থ ছাড়াই ক্রমাগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে বেজিংকে পিছু হটতে বাধ্য করছে। দাবি, সিনিয়র প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এবং অধ্যাপক ডেরেক গ্রসম্যানের।

গোটা বিশ্বজুড়ে যখন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ কিংবা যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে তীব্র কৌশলগত দ্বন্দ্ব চলছে, ঠিক তখনই দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিযোগিতা চলছে সন্তর্পনে। অত্যন্ত শান্তভাবে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। এই দেশগুলো এখন দাঁড়িয়ে আছে ভারত-চীনের কৌশলগত প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে। প্রতিবেদন বলছে, বেইজিং বহুদিন ধরেই সীমান্ত সংঘর্ষের মাধ্যমে ভারতকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে। টার্গেটে রেখেছে দক্ষিণ এশিয়াকে। আর এটাই নয়া দিল্লির উদ্বেগের বিষয়। চীন ভুটান ছাড়া সমস্ত দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চল গুলোতে বেল্ট এন্ড রোড ইনিয়েশিয়েটিভ সহ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিলেও, চূড়ান্ত স্বার্থসিদ্ধি করতে পারেনি। কিন্তু জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তানের গোয়াদর, শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা আর বাংলাদেশের চট্টগ্রামসহ ভারত মহাসাগরের মূল বন্দর গুলোয়। এই কৌশলই ভাবিয়ে তুলেছে ভারতকে।

আর একটা বিষয়। চীন বান্ধব সরকার মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানে ক্ষমতায় এসেছে ঠিকই। কিন্তু ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক খুব ভালো। বাংলাদেশ আর ভারত বারংবার একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে জারি আছে ভারত চীনের তীব্র প্রতিযোগিতা। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। সেই ১৯৭১ সাল থেকেই বাংলাদেশ পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ এবং ঋণী। তা সত্ত্বেও চীন ২০১৬ সালে প্রায় ২৪বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ২৭ টি বিআরআই চুক্তি করে হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্যিক অংশীদার। বঙ্গোপসাগর বরাবর বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামে বেজিং এবং নয়া দিল্লির প্রবেশাধিকার রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্যনীয়, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে মাঝে এত দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেশ মজবুত। আগামী জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। প্রতিযোগিতা যাই থাকুক না কেন রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশে বন্ধুত্বে এগিয়ে ভারত। অর্থনৈতিক দিক থেকে চীন সম্পর্ক বজায় রাখলেও, ঐতিহাসিক কারণে উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছেছে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version