।। প্রথম কলকাতা ।।
Koustav Ghosh: প্রতিদিন অভাবের সঙ্গে লড়াই। বাবা সিকিউরিটি গার্ড, সংসার চলে কোনমতে। কিন্তু ছেলের চোখে রঙিন স্বপ্ন। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হবেন। উজ্জ্বল করবেন দেশের মুখ। সেখানে অভাব কোনো বাধাই নয়। তা বুঝিয়ে দিলেন বাংলার ছেলে কৌস্তভ ঘোষ। দরিদ্র পরিবারে বড় হয়েছেন, নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা, কুঁড়েঘরে সম্বল বলতে মনের জোর, পরিশ্রম আর বাবা মায়ের আশীর্বাদ। কৌস্তভ এবার গবেষণা করবেন, দেশের সেরা ভাবা অ্যাটমিকে। এটা কি কম বড় কথা? বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন আর মাত্র কয়েক পা দূরে। এই ছেলের স্ট্রাগেল শুনলে গর্ব হবে। কৌস্তভের লড়াই হাজার হাজার যুবকের অনুপ্রেরণা। স্বপ্ন পূরণের পথপ্রদর্শক।
স্বপ্ন সফলতার দোরগড়ায় বালুরঘাটের কৌস্তভ। তার কাছে আইডল ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। এবার তিনি দেশের অন্যতম সেরা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী হওয়ার পথে। অনু পরমাণুর জগত নিয়ে করবেন কাজ। সামনে আসবে নতুন নতুন আবিষ্কার। গোটা বিশ্ব জানবে তার কথা।
ইতিমধ্যেই ভাবা পারমাণবিক গবেষণা সংস্থার দুটো পরীক্ষায় পাশ করেছে। এখন তাকে এক বছরের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে তামিলনাড়ুতে। যেখানে কাজ করবেন জুনিয়র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট পদে। তার কাজ নিউক্লিয়ার ফ্লুয়েল সাইকেলের উপর। প্রশিক্ষণ শেষে হয়ে যাবেন সায়েন্টিফিক অফিসার। পূরণ হবে স্বপ্ন। এই স্বপ্নের জাল বোনা শুরু হয়েছিল অনেক আগেই । সেই ছোট থেকে।
বালুরঘাট হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে পাস করার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিভাগে স্নাতক শেষ করেন। তারপর গুয়াহাটিতে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হন। এসবের মাঝেই ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের নিয়োগ পরীক্ষায় বসেন। এই পরীক্ষায় গোটা দেশ থেকে ইন্টারভিউ দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ২৭৭ জন, তার মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে ২১ জন। এই ২১ জনের মধ্যেই জ্বলজ্বল করছে বাংলার ছেলে কৌস্তভের নাম। নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন ১৩ই জুলাই। প্রশিক্ষণ চলাকালীন তিনি মাসিক বৃত্তি পাবেন প্রায় ৫৫ হাজার টাকা।
বাবা সিকিউরিটি গার্ড, মা গৃহবধূ। সামান্য রোজগারের সংসার। কিন্তু ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করেছেন, উৎসাহ জুগিয়েছেন। যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন ছেলের পাশে থাকার। কৌস্তভের সাফল্যে পরিবারসহ এলাকার মানুষজন ভীষণ খুশি। তিনি তার পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন। শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিচ্ছে সকলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম