ইমরানের লাইফ রিস্ক, পলিটিক্যাল কেরিয়ারে ট্যুইস্ট, কী ঘটছে পাকিস্তানে ? ঘুঁটি সাজাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

।। প্রথম কলকাতা ।।

কারাগারে বিষ খাইয়ে মারার ছক ইমরান খানকে? কুরেশি কী ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেয়েছেন? ফল ও পেলেন হাতেনাতে। বাইরে থেকে খেলে দিল যুক্তরাষ্ট্র? পিটিআই ছন্নছাড়া নাকি ফিনিশ? পাকিস্তানের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। ইমরান খানের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী? প্রমাণ হয়ে গেল? ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরানের পলিটিক্যাল কেরিয়ার নিয়ে চারিদিকে কম অ্যানালিসিস তো হচ্ছে না। কিন্তু আসল ফ্যাক্ট কী? সত্যিই কী নির্বাচনের আগে খানের রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ? উত্তরেই কিন্তু আসল ট্যুইস্ট।

একদিকে, কারাগারে ইমরানের লাইফ রিস্ক। খাবারে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্ত্রী বুশরা বিবি। অন্যদিকে, পাক গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির হাতে পাক বিদেশমন্ত্রী তথা পিটিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মহম্মদ কুরেশি গ্রেফতার হয়ে গেলেন। পিটিআই আরও বেশি কোণঠাসা হয়ে গেল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? না জানা যায়নি। যদিও পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কুরেশি নাকি আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করছিলেন আসলে পাকিস্তানে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরূপ হয়ে উঠছে। লড়াইটা যেন এক ব্যক্তি এক দল ভার্সেস গোটা দেশ। পাকিস্তানে এর আগেও প্রধানমন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু ইমরান খানের ক্ষেত্রে রাজনীতির পরিধি আগামীতে আরও সঙ্কুচিত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। এটা মানতে হবে ইমরান খান নিজেও এর আগে অন্য রাজনৈতিক দলকে আইনের ফাঁদে ফেলেছেন। এখন সেই একই বিষয় ঘুরে ফিরে আবার তাঁর কাছে ফিরে এসেছে না, ইমরানের ক্রেজ যে পুরোপুরি কমে গেছে পাকিস্থানে তেমনটাও নয়। কিন্তু পিটিআই-এর সাংগঠনিক কাঠামোর ভাঙন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এরমধ্যেই বিশ্লেষকদের একাংশ কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছেন।

তাঁরা বলছেন ইমরান খানের বিরুদ্ধে চলমান মামলার সুরাহা হতে পার হবে মাসের পর মাস! ফলে আসন্ন নির্বাচনে তার অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে! তবে দেশের সংবিধান টিকে থাকলে ইমরানের রাজনীতিও হয়তো টিকে যাবে, আর এর লঙ্ঘন হলে সমাপ্তি এখানেই কিন্তু সংবিধানের সঙ্গে ইমরান খানের টিকে থাকার সম্পর্ক কী? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কোনো কিছুতে ইমরানকে আটকাতে না পারলে, তার বিরোধীরা নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করবে। আর নির্বাচনে কোনো বিলম্ব হলে তা হবে পাকিস্তানের সংবিধানের ওপর হামলার সামিল। কারণ, নির্বাচনের বিলম্ব তখন সংবিধান স্থগিতের চেয়ে কম নয় বলেই বিবেচিত হবে। সেক্ষেত্রে একমাত্র সংবিধানের আধিপত্যই তাকে এবং তার দলকে বাঁচাতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।যদিও ক্ষমতায় থাকাকালীন ইমরান খান কখনোই এই সংবিধানকে পাত্তা দেননি। তিনি গোয়েন্দা সংস্থাকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু এখন তাঁর নিজের টিকে থাকাটাই রিস্কে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version