।। প্রথম কলকাতা ।।
Darjeeling tourist tax: দার্জিলিংয়ে ঘুরতে গেলে এবার দিতে হবে কর। ইতিমধ্যেই সেই কর আদায় শুরুও হয়ে গিয়েছে। আপনি তো জানেনই, বাঙালির অন্যতম পছন্দের ট্রাভেল ডেস্টিনেশন দার্জিলিং। টাইগার হিল, ঘুম, সান্দাকফু, পিস প্যাগোডা সহ দার্জিলিংয়ে রয়েছে একাধিক জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।আপনি বলবেন, দার্জিলিং মানেই আসলে সম্মোহন। ঠিক তাই। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে টয় ট্রেনের কু ঝিক ঝিক থেকে মাথায় তুষার শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার মুকুট। কিংবা পাহাড়ের গা বেয়ে ধাপে ধাপে চা বাগানের কথাই ধরুন।অলঙ্কারের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কমলালেবুর কথাই বা ভুলবেন কি করে! সব মিলিয়ে পাহাড়ের রানীর তুলনা মেলা ভার। সেই দার্জিলিঙ গেলে এবার আপনাকে কর দিতে হবে। মাথাপিছু কত টাকা করে দিতে হবে জানেন?জানেন কেন আদায় করা হচ্ছে এই কর? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই এই প্রতিবেদনে।
পর্যটকদের কাছ থেকে কর আদায় নিয়ে কিছুদিন ধরেই ভাবনাচিন্তা চলছিল। কয়েকদিন আগে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে দার্জিলিং পুরসভা। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কথা বিভিন্ন হোটেল মালিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। করের কুপনও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে শৈলশহরের হোটেলগুলিতে। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে কর আদায়। পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মূলত জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্যই এই কর নেওয়া হচ্ছে। এই করের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। আপনাদের জানিয়ে রাখা যাক, ৩০ বছর ধরে এই কর চালু ছিল দার্জিলিঙে। জিএনএলএফ-এর আমলেও তা নেওয়া হয়েছে। ব্যতিক্রম হয়নি বিমল গুরুংয়ের আমলেও। মাঝের কয়েকটি বছর পর্যটকদের থেকে ওই কর নেওয়া বন্ধ হয়েছিল। আবার তা চালু করা হল।
আগে যেমন করের অঙ্ক ২০ টাকা ছিল, এখনও তা-ই রাখা হচ্ছে। পুরসভার বক্তব্য, শহরের জঞ্জাল পরিষ্কার করতে অনেক খরচ হচ্ছে তাদের। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে আবার ওই কর ফিরিয়ে আনা হল। পাহাড়ে পর্যটকদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিতেই এই সিদ্ধান্ত। অন্য দিকে পুরসভার এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পর্যটন সংস্থাগুলি।তাদের অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও পুরসভা দাবি করেছে, সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে যে কর সংগ্রহ করা হত, তার কোনও হিসাব থাকত না। এ বার থেকে সমস্ত হিসাব রাখা হবে। সেই সঙ্গে নিয়ম মেনে টেন্ডার ডেকে কাজ করা হবে।
অন্য দিকে, হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কেরও অভিযোগ, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারাও বলছে, আগেও এই কর নেওয়া হত৷ এটা নতুন কিছু নয়।তবে মাঝে বহু বছর তা বন্ধ ছিল। আমরাও একটা বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি কিন্তু বিস্তারিত কিছুই জানি না এখন।হোমস্টে বা হোটেলের ক্ষেত্রে কী ভাবে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে, সে বিষয়ে এখনও পুরোপুরি অবগত নই। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকলের সঙ্গে বৈঠক করলে হয়তো ভাল হত। যদিও কর শুধুমাত্র দার্জিলিঙের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ বলে জেনেছে তারা। পর্যটকদের অনেকেই এই কর নিয়ে তেমন ভাবিত নন। তাদের মতে, যৎসামান্য বাড়তি মূল্য দিয়ে যদি পাহাড়-সুন্দরীকে স্বচ্ছা রাখার কাজে কিছুটা সাহায্য করা যায়, তাতেই বা ক্ষতি কী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম