।। প্রথম কলকাতা ।।
Madhyamik Examination 2024: আপনার ছেলে বা মেয়ে কি এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে? নিয়ম সব বদলে গেছে সে খবর জানেন কি! কোশ্চেন পেপারের এই জিনিসটা না বুঝলে কিন্তু পরীক্ষার সময় ভীষণ সমস্যা হবে। কারণ মাধ্যমিকে এবার বিরাট কড়াকড়ি ঠিক ঠাক প্রস্তুতি না নিলে ভীষণ চাপ। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় নতুন গাইডলাইন পাঠিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিছু এদিক সেদিক করলেই প্রশ্নপত্র থেকেই ধরা পড়ে যাবেন কোয়েশ্চেন পেপারে থাকছে বিশেষ কোড। কী কাজে লাগবে জানেন?আর হবে না প্রশ্নপত্র ফাঁস। এবার চূড়ান্ত কড়াকড়ি শিক্ষা দফতরের। নতুন কী নিয়ম হল জানুন।
প্রশ্ন ফাঁস তথা পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে আসা রুখতে আগে থেকেই সতর্ক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা যাতে বজায় থাকে সেক্ষেত্রে একেবারে নতুন একটি ব্যবস্থা। যা সহজে কেউ ভাবতেও পারবে না। এবার থেকে এই ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্রের ছবি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বেরোলেই ওই প্রশ্নপত্রটি কোন পরীক্ষার্থীর তা জানা যাবে। জানা গিয়েছে কেউ পরীক্ষা শুরুর হওয়ার পর যাতে ছবি তুলে প্রশ্ন না বের করতে পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নপত্রের একটি করে ইউনিক সিরিয়াল নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার সময় একজন পরীক্ষার্থী যে প্রশ্নপত্র পাবে সেই প্রশ্নপত্রের ইউনিক কোডটি তার উত্তরপত্রেও অ্যাটেন্ডেন্স শিটে লিখে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনও প্রশ্নপত্র বেরিয়ে এলে কোডটি দেখলেই বোঝা যাবে কোন জায়গা থেকে প্রশ্নের ছবি বেরিয়েছে এবং প্রশ্নপত্রটি কার।
প্রশ্নপত্রর বিভিন্ন জায়গাতেই কোড ব্যবহার করা হবে।কেউ কোনও জায়গা থেকে মোবাইলে ছবি তুললেই সঙ্গে সঙ্গে সেই কোড নজরে আসবে। কোন পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্রের ছবি তোলা হয়েছে তা সঙ্গে সঙ্গেই চিহ্নিত করা যাবে। শুধু প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতা নয়। প্রশ্নপত্রের যে কোনও পৃষ্ঠার ছবি তুললেই এই কোডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। শুধু তাই নয়, এমনও দেখা যায় যে কোনও বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও অ্যাটেনডেন্স সিটে স্বাক্ষর না করানোর জন্য তাকে অ্যাবসেন্ট করে দেওয়া হয়। আর এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে তার জন্য বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলাগুলিকে।
গত কয়েক বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে পর্ষদগুলি। পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোবাইল ফোন ও যাবতীয় ইলেন্ট্রনিক ডিভাইস। কী ভাবে, কখন প্রশ্নপত্রের বান্ডিল খুলতে হবে তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল আলাদা ভাবে কিন্তু পরীক্ষার হলের ভিতর থেকে প্রশ্নপত্র মোবাইল ফোনে বাইরে চলে আসা রোখা যায়নি। কে বা কারা এই কাজ করেছে চিহ্নিত করা যায়নি তাদেরও। গত কয়েক বছর ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁস সংশ্লিষ্ট পর্ষদের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেও প্রশ্নফাঁস রোখা যাচ্ছে না। বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিলির সঙ্গে সঙ্গে তার ছবি বাইরে চলে আসছে। এবার প্রশ্নপত্রে ইউনিক কোডের ওয়াটারমার্ক বসাতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম