Snake Bite Treatment: সাপে কাটলে দেওয়া হবে ইনজেকশন! প্রাণ বাঁচবে বহু মানুষের

।। প্রথম কলকাতা ।।

Snake Bite Treatment: সাপে কাটলে দেওয়া যাবে ইনজেকশন! এতদিন সর্প দংশনের ক্ষেত্রে অ্যান্টি-স্নেক ভেনম সিরাপ বা এভিএস (AVS) এর নামই সবাই জানত। এবার সেই তালিকায় হয়ত সংযোজন হবে এক নতুন ইনজেকশন। সেই নিয়ে ট্রায়াল শুরু হবে খোদ কলকাতায়। ‘এই সময়’ এর সূত্র অনুযায়ী, এই বিষয়ে এসএসকেএম (SSKM) এবং এনআরএস-এ সাপে কাটা রোগী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সেখানে কতজন রোগী আসে, তাদের ঠিক কোন কোন সাপ দংশন করেছে, সেই বিষের প্রভাব সম্পর্কিত নানান তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

সম্প্রতি এভিএস নিয়ে নানান প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বলা হচ্ছে তামিলনাড়ুতে যে এভিএস তৈরি হয়েছে তা দেশের সব প্রান্তে সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য হয়ে ওঠেনি। যার কারণে সর্প দংশনের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। অপরদিকে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা মহল স্বপ্ন দেখছে, আরেকটি ওষুধ নিয়ে। এভিএস এর সঙ্গে ভ্যারেসপ্লেডিব নামক আরেকটি ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মূলত এটি এক ধরনের ট্যাবলেট, যার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (Calcutta National Medical College and Hospital)। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই ভ্যারেসপ্লেডিব ইনজেকশনের ট্রায়াল শুরু হবে। চিকিৎসা মহল আশা করছে, যদি একবার এই ট্রায়াল সফল হলে বহু মানুষ সাপের বিষের হাত থেকে প্রাণ বাঁচবেন।

সাপের বিষ হল প্রোটিন এনজাইম আর কিছু রাসায়নিক পদার্থের সমন্বয়ে তৈরি জটিল যৌগ। আসলে সাপের জিভের নিচে কিংবা চোয়ালের দুই পাশে একজোড়া প্যারোটিড গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থির মূল কাজ হলো বিষ উৎপন্ন এবং সংরক্ষণ করা। আর এখান থেকেই অতি সূক্ষ্মনালী পৌঁছেছে বিষ দাঁতে। ছোবল দেওয়ার সময় ইনজেকশনের মত বিষ ঢেলে দেয়। জানলে চমকে উঠবেন, এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হয় মাত্র ২০ মিলি সেকেন্ডে।

প্রতিবছর গোটা বিশ্বে প্রায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষ শুধুমাত্র সাপের ছোবলে মারা যান। এই সংখ্যা নেহাত কম নয়। বিশেষ করে ভারত,বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো এশীয় দেশগুলিতে রীতিমত আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চন্দ্রবোড়া। ভারতের প্রতিবছর যে পরিমাণ সাপের মৃত্যু ঘটে তার মধ্যে শুধুমাত্র ৪৩ শতাংশ মৃত্যু ঘটে চন্দ্রবোড়ার কামড়ে। শ্রীলঙ্কায় এই হার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version