।। প্রথম কলকাতা ।।
South 24 Pargana: দীর্ঘ বেশ কিছু বছর ধরে বন্ধ থাকা একটি সেপটিক ট্যাঙ্কের (Septic Tank) ভেতর থেকে উদ্ধার হল মানব দেহের কঙ্কাল। ট্যাঙ্কটি পরিষ্কার করতে গিয়ে এমন ঘটনা সামনে আসায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) জেলার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত একটি এলাকায়। ওই সেপটিক ট্যাঙ্কটি পরিষ্কার করার সময় শ্রমিকরা মহিলার পোশাক এবং হাড়ের অংশ উদ্ধার করলে কাজ করতে অস্বীকার করে। তবে বাড়ির মালিকের কথায় কাজ চালিয়ে যান তাঁরা। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে ওই বাড়ির ট্যাঙ্কটি থেকে উদ্ধার করা হয় মানুষের কঙ্কাল (Human skeleton)।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানার জগদীশপুর এলাকার ওই বাড়ির মালিক হলেন সঞ্জিত সরকার। বিগত পাঁচ বছর ধরে তাঁরা এই বাড়িটিতেই বসবাস করছেন। বাড়ি মালিকের স্ত্রী পায়েল সরকার জানান, বর্ষাকালে যাতে ট্যাঙ্কের জল উপচে বাইরে না চলে আসে তার জন্য শীতেই ট্যাঙ্কটি (Tank) পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। সেই কাজ শুরু হয়। কিন্তু শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে ওই ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করেন এক মহিলার পোশাক, শাখা, মাথার খুলি এবং দেহের বিভিন্ন অংশের হাড়। তারপরেই বিষয়টি জানাজানি হয় এলাকায়।
বাড়ির সদস্যরা খবর দেন পুলিশকে। ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় পুলিশ। উদ্ধার করা হাড়এবং অন্যান্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। কোথা থেকে এলো মানব কঙ্কাল ? তাহলে কি কোন মহিলাকে খুন করে ওই ট্যাঙ্কের মধ্যে খেলে দেওয়া হয়েছিল ? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন স্থানীয় এক বাসিন্দাই। দীপঙ্কর নস্কর নামক ওই স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সঞ্জিত সরকার বর্তমানে যে বাড়িতে বসবাস করছেন সেই বাড়িতে প্রায় দশ বছর আগে দু-তিন জন সদস্য বাস করতেন।
এলাকায় সেই সময় দুজন মহিলা নিখোঁজ হয়ে যায়। সালটা ২০১৩ । সেই সময় নিখোঁজ হয়েছিলেন কৃষ্ণা সর্দার এবং ছায়া মণ্ডল। দীপঙ্কর জানান, ওই দুটি মহিলার নিখোঁজ হওয়ার নেপথ্যে এই বাড়ির পুরাতন মালিকরাই ছিলেন, এমনটা সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। সন্দেহের উপর ভিত্তি করেই স্থানীয়রা মারধর করেন ওই বাড়ির বাসিন্দাদের। পরবর্তীতে তাঁরা বাড়িটি বিক্রি করে চলে যান। দীপঙ্কর সহ অন্যান্য প্রতিবেশীদের অনুমান ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা মহিলার কঙ্কালটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মহিলাদের হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তদন্ত শুরু করা হয়েছে ঘটনার গোড়ায় পৌঁছানোর জন্য।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম