।। প্রথম কলকাতা ।।
Indian Railways: কলকাতা (Kolkata) বা হাওড়া (Howrah) স্টেশনের কথা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে প্ল্যাটফর্মে গিজগিজ করছে যাত্রীরা। কেউ প্ল্যাটফর্মে (Platform) মেঝেতে বসে ট্রেনের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছেন, আবার কেউ বা ক্লান্ত হয়ে প্ল্যাটফর্মের মেঝেতেই কাগজ বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। পা দিয়া আগলে রেখেছেন ব্যাগ। কখনো দেরিতে ট্রেন ঢুকছে, আবার কখনো বা ট্রেন ঢোকার আগেই ট্রেন (Train) ছাড়ার ঘোষণা হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে যারা দূরপাল্লার ভ্রমণে যান তারা বেশ অসুবিধার মুখে পড়েন, তবে সমস্যার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন রূপে সাজতে চলেছে হাওড়া আর কলকাতা স্টেশন। ঝাঁ চকচকে বিমানবন্দরের আদব কায়দায় সেজে উঠবে রেলওয়ে স্টেশন গুলি।
‘এই সময়’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা আশ্বাস দিয়েছেন, বছর তিনেকের মধ্যে রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। পূর্ব রেলের মতে, কয়েক বছর পর রেলস্টেশনে ঢুকলে সেটি বিমানবন্দর না রেলস্টেশন তা বুঝতে একটু অসুবিধা হবে। আমূল পরিবর্তন ঘটতে চলেছে হাওড়া, কলকাতা এবং আসানসোল স্টেশনে। রেলস্টেশনকে বিমানবন্দরের আদলে সাজানো হবে। ভারতীয় রেলের অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের আওতায় ভোল বদলে যাবে প্রায় ১,২৭৫টি স্টেশনের। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবাংলারও কয়েকটি স্টেশন।
কয়েক দিন আগেই ভারতীয় রেল বোর্ডের তরফ থেকে ব্যান্ডেল স্টেশনের নতুন রূপ এবং পরিকল্পনার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। আসানসোল স্টেশনের পরিবর্তনের নকশাও মোটামুটি ভাবে ঠিক হয়েছে। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ আরোরা অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় হাওড়া, কলকাতা স্টেশনের লুক ঠিক কেমন হবে সেই বিষয়ে কিছুটা আশ্বাস দিয়েছেন। তার মতে, হাওড়া স্টেশন প্রায় ৬৯ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে, কিন্তু স্টেশন গেলে এক নজরে মনে হবে যেন আনাচে-কানাচে ভিড় করে রয়েছে যাত্রীরা। সবথেকে বড় সমস্যা, স্টেশনে প্রবেশ করছেন এমন যাত্রীদের সঙ্গে মিশে যায় স্টেশন থেকে বেরোচ্ছেন এমন যাত্রীরা। এই ব্যবস্থা আর থাকবে না। বিমানবন্দর লুকে সাজবে এই দুটি স্টেশন। আলাদাভাবে যাত্রীদের অ্যারাইভাল এবং ডিপার্চারের ব্যবস্থা করা হবে। থাকবে লাউঞ্জ এবং রুফটপ প্লাজা।
হাওড়া স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। আশা করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের মধ্যে হাওড়া স্টেশনের যাত্রীদের গতিবিধি আমূল বদলে ফেলা হবে। খুব সুন্দর ভাবে প্ল্যান করে বসানো হবে লিফট, এসকালেটর থেকে শুরু করে ওয়াকালেটর। আপাতত এই তালিকায় শিয়ালদা স্টেশনের নাম নেই তবে যাত্রীদের প্রবেশপথ এবং স্টেশন থেকে বেরোনোর জন্য আলাদা জায়গা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম