Kalighat Temple: কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের কাজ কতদূর? একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে রূপ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Kalighat Temple: বহুদিন ধরেই তো শুনছিলেন, সোনায় মুড়বে নাকি কালীঘাট মন্দির! হবে দক্ষিণেশ্বরের মতো স্কাইওয়াক, কিন্তু সেই কাজ এখন কতদূর? কবে নতুন রূপে সাজবে কালীঘাট মন্দিরের চত্বর? হয়ে উঠবে চকচকে অতিব সুন্দর। কাজ এগোলো কতটা? খোঁজ নিল প্রথম কলকাতা। মন্দির কতটা বদলালো, দেখুন নিজের চোখে।

আপনার চেনা সেই কালীঘাট মন্দিরে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন, এখনো পর্যন্ত কাজ চলছে। তবে কাজের জন্য পুজো দিতে পারবেন না, এমনটা নয়। মায়ের দ্বার ভক্তদের জন্য সবসময় খোলা। তবে বুঝতে পারবেন, কোথাও চলছে পাথর বসানোর কাজ, কোথাও বা গেট বসানো হচ্ছে। ভিতরে সৌন্দর্য বর্ধন করছে সুন্দর ফোয়ারা। চারিদিকে লাগানো হয়েছে প্রচুর গাছ। প্রায় দু বছর হয়েছে কাজ চলছে। এখনো কাজ চলবে। তার মানে বুঝতেই পারছেন, কাজ এখনো অনেকটাই বাকি।

২০১৯ সালে কলকাতা পুরসভাকে কালীঘাট মন্দির সংস্কারে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রায় চার বছর কেটে গেলেও সেই কাজ শেষ হয়নি। অবশেষে তা নিয়ে তৈরি হয় একটু অসন্তোষ। তারপরে কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের দায়িত্ব পায় রিলায়েন্স গোষ্ঠী। কথা অনুযায়ী, ২০২৩ এর জুন থেকেই রমরমিয়ে শুরু হয় কাজ। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০২৩ এর ডিসেম্বর, কিন্তু এখনো পর্যন্ত শেষ হয়নি। ২০২৩ এর ডিসেম্বরে এসে রিলায়েন্স কর্তারা বুঝতে পারেন, মন্দিরের পুরোপুরি সংস্কার করতে আরো সময় লাগবে। প্রায় ছয় মাস। কারণ একটাই, ঐতিহ্যবাহী মন্দিরকে সংস্কার করা কিন্তু একদমই মুখের কথা নয়। তার উপর সবসময় এর জন্য মন্দির খোলা রেখে সবকিছু সংস্কার করতে হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে উন্নতমানের প্রযুক্তি।

শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণেশ্বরের মতো এখানেও তৈরি হবে স্কাইওয়াক। প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ১০ মিটার চওড়া স্কাইওয়াক তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। যার একটি দিক কালীঘাটের মন্দির থেকে চলে যাবে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোডের দিকে, আরেক দিক কালীঘাট থানার পাশ থেকে চলে যাবে গুরুপদ হালদার রোডের দিকে। কালীঘাট মন্দিরের চূড়া মুড়ে ফেলা হবে খাঁটি সোনা দিয়ে, তাও আবার পুরো ৫০ কেজি সোনা দিয়ে। কালিঘাট কলকাতার বিখ্যাত সতী পীঠ। গর্ভগৃহ থেকে শুরু করে ভোগের ঘর, নাট মন্দির, মূল মন্দির, বলির জায়গা পর্যন্ত সংস্কারের আওতায় রয়েছে। তবে দোকানপাট আগে যেমন ছিল এখন তেমনই রয়েছে। রাস্তার দুধারে পুজোর রকমারি জিনিসের অভাব নেই। একবার সময় করে মাকে দর্শন করে আসতে পারেন। https://www.facebook.com/100069378195160/posts/707546638234603/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

 

Exit mobile version