ISRO Satellite image of Sikkim Flood: কীভাবে সিকিমে শুরু হয় ভয়াবহ বন্যা? গায়ে কাঁটা দেওয়া ছবি দেখা গেল উপগ্রহ চিত্রে

।। প্রথম কলকাতা ।।

ISRO Satellite image of Sikkim Flood: বৃষ্টিতে সিকিমে ভয়াবহ বিপর্যয়। সিকিমে আচমকা বন্যা এসেছে। ২০১৩ সালে ঠিক একই ঘটনা ঘটে কেদারনাথে। হিমবাহী হ্রদের উপর মেঘ ফেটে যায় তার জেরে প্রচুর বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। মেঘের বিস্ফোরণের ফলে জল হু হু করে ঢুকতে শুরু করে নিচু এলাকায়। বহু মানুষের হতাহতের খবর এসেছে, বহু মানুষ নিখোঁজ। রাজ্যের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাঁধ জলের চাপে ভেঙে গিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন সিকিমের তিস্তা নদীতে এমন ভয়াবহ জলের তর আর ধ্বংসলীলা তারা কখনও দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না।

উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন। সিকিমে আটকে রয়েছেন বাংলার অন্তত ২০০০ পর্যটক। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সিকিম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে নবান্ন। বন্যায় বিধ্বস্ত সিকিম। বাকি দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই রাজ্য। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে লোনাক লেকের জলাধার থেকে জল গিয়ে পড়ে তিস্তা নদীতে। সেখান থেকেই শুরু হয় ভয়াবহ বন্যা। আর ইসরোর উপগ্রহ চিত্রে ফুটে উঠল এই বন্যার বিভীষিকা। সত্যিই কি মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতেই ফেটে গেল লোনাক হ্রদ। বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর তাতেই উঠে আসছে অন্য এক তত্ত্ব। একংশের বিজ্ঞানীরা বলছেন সিকিমের এই বিপর্যয় নেপথে থাকতে পারে নেপালের ভূমিকম্প।

ভয়াবহ বন্যায় ডুবে সিকিম। রাস্তা, সেতু ধুয়ে গিয়েছে। বাকি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই রাজ্য। তিস্তা নদীর রণমূর্তিতে ভেসে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। জানা গিয়েছে,  মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে লোনাক লেকের জলাধার থেকে জল গিয়ে পড়ে তিস্তা নদীতে। সেখান থেকেই শুরু হয় ভয়াবহ বন্যা। আর ইসরোর উপগ্রহ চিত্রে ফুটে উঠেছে সেই বিভীষিকা। বন্যার আগের এবং পরের যে চিত্র ইসরোর তরফে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে কী পরিমাণ বৃষ্টি সিকিমে হয়েছে এবং তার জেরে কী ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর দেখা গিয়েছে, লোনাক লেকের ১০৫ হেক্টর জায়গা থেকে জল গিয়ে পড়েছে তিস্তায়। মানে লেকের প্রায় ৬৫ শতাংশ খালি হয়ে গিয়েছে।

রণমূর্তি ধারণ করেছে তিস্তা। এই বন্যার জেরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতি হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গিয়েছে। এদিকে ইসরো জানিয়েছে, লোনাক লেকের ওপর তারা নজরদারি চালিয়ে যাবে। আবার অন্যদিকে তিস্তায় হড়পা বান আসে। এর জেরে সেনার একটি ট্রাক তলিয়ে যায় তিস্তায়। সেনার সেই ট্রাকে অন্তত ২৩ জন জওয়ান ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নিখোঁজ জওয়ানদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সিংতামের কাছে বরদঙে নদীর ধারে একটি রাস্তায় দাঁড় করানো ছিল সেনার গাড়িটি। হড়পা বান আসায় ট্রাকটি তলিয়ে যায় নদীতে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে অন্তত ১৪টি সেতু ধুয়ে যায়। জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোটা রাজ্য বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এর জেরে। উল্লেখ্য, যখন কোনও ছোট্ট একটা এলাকায় এক ঘণ্টার মধ্যে ১০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হয়, তখন সেটাকে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি বলা হয়।

উল্লেখ্য চলতি সপ্তাহের মার্চে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এটি রিপোর্ট পেশ করা হয় ‌। সেখানে বলা হয় হিমালয়ের হিমবাহ গুলি বিভিন্ন আরে দ্রুত গলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমালয়ের নদী যেকোনো সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে বলে স্বীকার করা হয়েছিল। এখন যা পরিস্থিতি সিকিমে এখনো বৃষ্টিও চলেছে সঙ্গে তিস্তার উপরে তৈরি একাধিকবার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। জল সমতলে নামতে শুরু করেছে, সীমান্ত পেরিয়ে তা বাংলাদেশে ঢুকবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version